Panihati

Panihati youth murder: টিভির ‘ক্রাইম সিরিয়াল’ দেখে প্রমাণ লোপাটের ছক! পানিহাটির যুবক খুনে নয়া তথ্য

খুনের ঘটনায় ধৃত তিন জনকে শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২২ ২১:৩৫
Share:

ধৃত তিন জনকে মঙ্গলবার শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। ফাইল ছবি

পানিহাটির যুবক খুনে উঠে এল নতুন তথ্য। অপরাধমূলক কাজকর্ম নিয়ে জনপ্রিয় একটি টিভি ধারাবাহিক দেখে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে এই খুনে মূল অভিযুক্ত সুবীর। ধৃত তিন জনকে মঙ্গলবার শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার আদালতে যাওয়ার পথে সুবীর বলে, ‘‘অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে শুভজ্যোতি। সেই কারণেই খুন করেছি তাকে।’’

তদন্তকারী আধিকারিকেরা সোমবার শ্রীরামপুর থানায় ধৃত তিন জনকে দফায় দফায় জেরা করেন। জানা গিয়েছে, গত ১৩ মার্চ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন পানিহাটির শুভজ্যোতি ও উত্তরপাড়ার পূজা। বিয়ের কয়েক দিন পরেই পূজা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বান্ধবী শর্মিষ্ঠার উত্তরপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে চলে আসেন। তিনি পুলিশকে জানান, তাঁকে শারীরিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে শ্বশুরবাড়িতে, তাই তিনি চলে এসেছেন।

Advertisement

শুভজ্যোতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। বিয়ের পর কয়েক বার শুভজ্যোতি উত্তরপাড়ায় শর্মিষ্ঠার বাড়িতে আসা যাওয়া করেন। তাঁদের বিয়ের সময়েও শর্মিষ্ঠা উপস্থিত ছিলেন। পূজার সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হওয়ার পরে শুভজ্যোতি প্রেম নিবেদন করেন শর্মিষ্ঠাকে। সে কথা সুবীরকে জানিয়ে দেন শর্মিষ্ঠা। খুনের পরিকল্পনা করেই কোন্নগরে একটি ইটভাটায় যায় সুবীর। চপার দিয়ে ধড় ও মুণ্ড আলাদা করার পর মুণ্ড গঙ্গায় ফেলে দেয়। লরি থেকে প্লাস্টিক চুরি করে। রাস্তার ধারে থাকা একটি ভ্যান রিকশা নেয়। তাতে চাপিয়ে, প্লাস্টিকে মুণ্ডহীন দেহ মুড়ে ভ্যান করে শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুরে নিয়ে গিয়ে গঙ্গায় তা ফেলে দেয়।

কোন্নগরে মেরে শ্রীরামপুরে কেন দেহ ফেলতে এল সুবীর? জেরায় সে তদন্তকারীদের জানিয়েছে, একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালের ভক্ত সে। অপরাধী কী করে প্রমাণ লোপাট করে, সে ওই ধারাবাহিক থেকেই শিখেছে বলে জানিয়েছে। সেই কারণে মুণ্ডচ্ছেদ করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার পর দেহ নিয়ে গিয়ে ফেলে শ্রীরামপুরে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবীর ভেবেছিল, দেহ মিললেও মুণ্ড না পেলে প্রমাণ করা যাবে না কার মৃতদেহ। তবে হাতের ট্যাটু দেখে শুভজ্যোতির পরিবার তাঁকে শনাক্ত করে নেবে সেটা হয়তো ভাবেনি সুবীর।

Advertisement

পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, শুভজ্যোতির আগে পূজা আরও একটি বিয়ে করেন। তাঁদের একটি মেয়েও আছে। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে থাকে তাঁর বাবা-মায়ের কাছে। অন্য দিকে, শর্মিষ্ঠারও আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁরও তিনটি মেয়ে আছে। জেরায় আরও তথ্য উঠে আসবে, তেমনটাই মনে করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন