বাহিনী সরছে, ফের উদ্বেগ পাহাড়ে

আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সাত কোম্পানি। এ বার পাহাড় থেকে আরও চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বড় গোলমাল হলে মাত্র চার কোম্পানি সিআরপিএফ ও এসএসবিকে দিয়ে কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হবে, তা ভেবে উদ্বেগ বাড়ছে পাহাড় ও লাগোয়া সমতলে।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:০৫
Share:

আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সাত কোম্পানি। এ বার পাহাড় থেকে আরও চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বড় গোলমাল হলে মাত্র চার কোম্পানি সিআরপিএফ ও এসএসবিকে দিয়ে কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হবে, তা ভেবে উদ্বেগ বাড়ছে পাহাড় ও লাগোয়া সমতলে।

Advertisement

এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা জানান, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসে রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ আশ্বাস দিয়েছেন, ইএফআর, স্ট্র্যাকো, সিআইএফের ৪ কোম্পানিকে পাহাড়ে পাঠানো হবে। প্রয়োজনে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরে থাকা সশস্ত্র বাহিনীর অন্তত ৪০০ জনকে পাহাড়ে পাঠানো হবে।

পুলিশের দাবি, বর্তমানে দার্জিলিং ও কালিম্পঙে রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীর ১২ কোম্পানি অফিসার-কর্মী রয়েছেন। তার মধ্যে ৫ কোম্পানিই পাঠানো হয়েছে ৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী সরার পর। এরমধ্যে রাজভবন ও লাগোয়া এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে ইএফআরের উপর। এছাড়াও স্ট্র্যাকো, সিআইএফ এবং রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর দশম, দ্বাদশ ব্যাটেলিয়নের অফিসার কর্মী সংখ্যাও ৮০০। প্রশিক্ষিত কমব্যাট ফোর্স ও র‌্যাফের শতাধিক সশস্ত্র পুলিশ-কর্মী রয়েছেন। তার পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাটতি পূরণ হবে না বলে জানিয়ে একান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পুলিশ অফিসারদের অনেকেই।

Advertisement

তাঁদের দুশ্চিন্তার বড় কারণ, আপাত শান্তি ফিরলেও বিমল গুরুঙ্গ ও তাঁর একান্ত অনুগামী অন্তত ২০ জন এখনও অধরা। অডিও-বার্তায় বারেবারেই ‘সংঘাত নয়’ বলে অনুগামীদের সতর্ক করলেও, যে কোনও মুহূর্তে গুরুঙ্গ যে তাঁদের সরাতে পাহাড়ে বড় মাপের আন্দোলনের ডাক দিতে পারেন তা নিয়ে বিনয়-অনীত শিবিরেরও সন্দেহ নেই। একান্তে তাঁরা সে কথা রাজ্যকে জানিয়ে দ্রুত পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত বাহিনী পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছেন। বিনয় বলেছেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি পুলিশকে দেখতে হবে।’’

পাহাড়ে বড় আন্দোলনের সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী সামনে থাকায় পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে পুলিশের পক্ষে যে সুবিধা হয়েছে সেটা গোয়েন্দারা অনেকেই একান্তে মানছেন। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘাটতি পূরণের জন্য রাজ্য পুলিশের কাউন্টার ইনসারজেন্সি ফোর্স, ইএফআর ও ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের ৪ কোম্পানিকে পাহাড়ে মোতায়েনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন