নাবালিকা মেয়ের প্রেম নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল। গভীর রাতে মেয়ের ঘরে প্রেমিককে দেখে মেজাজ হারান বাবা-মা। অভিযোগ, মারধর করে মেয়ের প্রেমিকের শরীরে অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছেন ওই দম্পতি।
ঘাটাল শহরের ঘটনা। অ্যাসিডে গুরুতর জখম ঘাটাল কলেজের প্রথম বর্ষের সুরজিৎ সাঁতরাকে প্রথমে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার তাঁকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। গ্রেফতার বছর সতেরোর ওই কিশোরীর মা। বাবা পলাতক। জেলার এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে অ্যাসিডের বোতল মিলেছে। অ্যাসিডের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হচ্ছে।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমায় অভিযোগ, অ্যাসিড বিক্রি, মজুত ও ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও নজরদারির অভাবে তা মানা হয় না। ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকিরঞ্জন প্রধানের যদিও দাবি, “নিয়ম মেনে অ্যাসিড বিক্রির জন্য নিয়মিত অভিযান চলছে।’’ ঘাটাল শহরের কোন্নগরের সুরজিতের সঙ্গে ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা পেশায় অটোচালক রবীন্দ্রনাথ সেনাপতির নাবালিকা মেয়ের বছর তিনেক ধরে প্রেম ছিল। সুরজিৎ সচ্ছল বাড়ির ছেলে। তাঁর বাবা অজয় সাঁতরা সোনার কারিগর। কিন্তু এই সম্পর্ক মানতে পারেননি সেনাপতি দম্পতি।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরী ফোন করে সুরজিৎকে বাড়িতে ডাকে। সুরজিৎকে মেয়ের ঘরে দেখে মেজাজ হারান রবীন্দ্রনাথবাবু ও তাঁর স্ত্রী। প্রথমে মেয়েকে মারধর করে শৌচাগারে আটকে দেন তাঁরা। তারপর বাঁশ-কাঠ দিয়ে মারধর করা হয় সুরজিৎকে। মারের চোটে সুরজিতের মাথা আর পিঠ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। তিনি জ্ঞান হারান। তাতেও থামেননি সেনাপতি দম্পতি। মেয়ের প্রেমিককে শিক্ষা দিতে ওই যুবকের মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে অ্যাসিড ছিটিয়ে দেন তাঁরা। পরে সুরজিৎকে স্থানীয় মনসা মন্দির চত্বরে বেঁধে রাখা হয় বলেও অভিযোগ।