ডুবেছে আবাদি জমি, রাস্তাঘাটও। —নিজস্ব চিত্র।
কমার কোনও লক্ষণই নেই। বরং মালদহে গঙ্গার জলস্তর বাড়ছে উদ্বেগজনক ভাবে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কালিয়াচকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায়।
অনেক জায়গাই এখন গঙ্গার জলে প্লাবিত। ডুবেছে আবাদি জমি, রাস্তাঘাটও। জলবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
আশঙ্কা, এ ভাবে জল বাড়তে থাকলে বহু বাসিন্দাই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন। ফুঁসছে ফুলহর ও মহানন্দাও। সেচ কর্তাদের দাবি, উৎসমুখে ভারী বৃষ্টিতে আরও বাড়বে এই দু’টি নদীর জল।
আরও পড়ুন
মৃত্যু ডেঙ্গিতেই, তবু ভিন্ন সুর স্বাস্থ্য বিভাগের
নদীগর্ভে বাড়িঘর, ঠাঁই দিচ্ছেন ঘরহারাই
দেখুন মালদহের বন্যাবিধ্বস্ত অবস্থার ভিডিয়ো
নদীর জল কমলে শুকনো মরসুমে গঙ্গার ভাঙন রোধের কাজ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক। মালদহের রতুয়ার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনের গিয়েছিলেন জেলাশাসক। ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ, ডিপিএসসির চেয়ারম্যান আশিস কুণ্ডু ও রতুয়া ১ ব্লকের বিডিও অর্জুন পাল। ভাঙন কবলিত জঞ্জালিটোলা, নয়া বিলাইমারি, খাকসাবোনা এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। ভাঙনে জঞ্জালিটোলা প্রাথমিক স্কুলটি তলিয়েছে নদী গর্ভে। স্কুলটি আপাতত বাঁধের উপরেই চলবে বলে সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘‘এখন ভরা গঙ্গা। ফলে ভাঙন রোধের কাজ সম্ভব নয়। জল কমলেই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ প্রায় এক মাস ধরে মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি পঞ্চায়েতে গঙ্গার চলছে ভাঙন। দু’শোরও বেশি বাড়ি, স্কুল ও কয়েকশো বিঘা জমি গিলেছে নদী।
(মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)