WB TET 2023

পরীক্ষা শেষের আগেই সমাজমাধ্যমে ফাঁস টেটের প্রশ্নের একাংশ! পর্ষদ বলল, ‘বদনাম করার চেষ্টা’

রবিবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)। আড়াইটেতে শেষ হয়েছে পরীক্ষা। অভিযোগ, দুপুর ১টা নাগাদ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে প্রশ্নপত্রের একাংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:১৭
Share:

পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমে ফাঁস টেটের উত্তরপত্রের একাংশ। — নিজস্ব চিত্র।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে টেটের প্রশ্নপত্রের একাংশ! এই নিয়ে শোরগোল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল স্পষ্টই জানিয়েছেন, এর ফলে কোনও পড়ুয়াই উপকৃত হননি। কিছু মানুষ ‘বদনাম’ করার চেষ্টা করছেন।

Advertisement

রবিবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)। আড়াইটেতে শেষ হয় পরীক্ষা। অভিযোগ, দুপুর ১টা নাগাদ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে প্রশ্নপত্রের একাংশ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম জানিয়েছেন, একে ‘ফাঁস’ বলা যাবে না। কেন তিনি এই কথা বলছেন, সেই যুক্তিও দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ১টা নাগাদ উত্তরপত্রের ওই অংশ দেখা গিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। ৮০০-র কাছাকাছি কেন্দ্র। সেখানে মোবাইল চেক করে তার পর পরীক্ষার্থীদের ঢোকানো হয়েছে। যাঁদের সঙ্গে মোবাইল ছিল, আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সমাজমাধ্যমের ওই পোস্ট থেকে কোনও পড়ুয়া উপকৃত হননি। কারণ তাঁরা ১১টায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকেছেন।’’ গৌতমের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ কেউ নাম খারাপ করার চেষ্টা করছেন। তবে এ বার পরীক্ষার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন না তিনি। পরিবর্তে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তাঁর সচিব পার্থ কর্মকার। তিনি জানান, এই বিষয়ে তদন্ত হবে। তবে ‘কালিমালিপ্ত’ করার জন্যই এ সব করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, এ বছর টেটে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। রবিবার টেট দিয়েছেন ২ লক্ষ ৭২ হাজারের কিছু বেশি। রাজ্যের মোটি ৭৭৩টি কেন্দ্রে হচ্ছে টেট, যার মধ্যে পাঁচটি কলকাতায়। এমনিতে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বিঘ্নেই মিটেছে পরীক্ষা। ১২টা থেকে শুরু হয়েছে পরীক্ষা। তবে কেন্দ্রে অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে হয়েছে ১১টার মধ্যে। সে কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির সামনে সকাল ১০টা থেকে ছিল ভিড়। মোবাইল বা ইলেক্ট্রনিক গেজেট নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ বারণ ছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রে আশপাশে ছিল ১৪৪ ধারা।

Advertisement

হুগলি জেলার ৩১টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেছেন ১২,১৫০ জন পরীক্ষার্থী। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার তিনটি থানায় ২৩ কেন্দ্রে হয় পরীক্ষা। ওই কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার্থীরা ঢুকে যাওয়ার পর তাঁদের অনেকের অভিভাবকই গিয়েছেন ব্যান্ডেল চার্চে। কেউ ঘুরতে গিয়েছেন হুগলির ইমামবাড়ায়। তাঁদের অনেকেই বহু দূর থেকে এসেছিলেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। তাঁরাই ঘুরে দেখলেন এ সব জায়গা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে এ বারে আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর আগে বারুইপুর মাদারহাট পপুলার একাডেমি স্কুলে শুরু হয় ঝামেলা। ১১টা বাজতেই মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, কোনও পরীক্ষার্থীকেই ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন পরীক্ষার্থী বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। প্রশাসনের তরফে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁরা কান দেননি। স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ করেন পরীক্ষার্থীরা। সাড়ে ১১টার পর তাঁদের ভেতরে ঢুকতে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ কলকাতায় যাদবপুর বিদ্যাপীঠে নির্দিষ্ট সময়ে অর্থাৎ ১১টার মধ্যে পৌঁছতে না পারায় বহু পরীক্ষার্থী ঢুকতে পারেননি বলে অভিযোগ। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে পরীক্ষার পর এক দল পরীক্ষার্থী পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদে সরব হন। তাঁদের অভিযোগ, নিয়োগ হচ্ছে না, ইন্টারভিউ হচ্ছে না, শুধুই পরীক্ষা হচ্ছে। তাই এই প্রতিবাদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন