যাদবপুর-মন্তব্যে জল্পনা

কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এর পিছনে সরকারের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ দিন শিক্ষামন্ত্রীর এ কথার পরে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি ভবিষ্যতের কোনও ভাবনা নিয়ে পুরো বিষয়টিতে নজর রাখছে সরকার?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৮ ০৭:০৪
Share:

পার্থ চট্টোপাধ্যায়

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সরকার ‘যথাসময়ে যা করণীয় তাই করবে’। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এ কথাই বললেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পরে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এর পিছনে সরকারের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ দিন শিক্ষামন্ত্রীর এ কথার পরে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি ভবিষ্যতের কোনও ভাবনা নিয়ে পুরো বিষয়টিতে নজর রাখছে সরকার?

এ দিন মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, যাদবপুর নিয়ে কোনও কথা বলবেন না। যাদবপুর যাদবপুরের মতো চলবে। তার পরে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘‘সরকার যথাসময়ে যা করণীয় তাই করবে।’’ পড়ুয়াদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত বছর মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কলা বিভাগের কিছু বিষয়ে নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি আর কিছু ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষা— এটা চলতে পারে না। তার পরেই কর্তৃপক্ষ প্রবেশিকা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও এই ঘটনাকে কাকতালীয় বলেছিলেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, কর্তৃপক্ষের শীর্ষ দুই পদ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। গত মঙ্গলবার উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছিলেন, তিনি ও সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি
চাইবেন। ওই দিনের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি উপাচার্য। কিন্তু সহ-উপাচার্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে শিক্ষক সংগঠন আবুটার যুগ্ম সম্পাদক গৌতম মাইতি জানিয়েছেন, কারওরই অব্যাহতি তাঁরা চান না। অন্য শিক্ষকেরাও উপাচার্যকে পদ না ছাড়ার জন্য আবেদন জানাবেন বলে সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement