State news

আড়াই ঘণ্টা চরম দুর্ভোগ, শেষে যাত্রীরাই তেড়ে এসে অবরোধ তুললেন সোদপুরে

ভুল ঘোষণার অভিযোগে সোদপুরে রেল অবরোধ করলেন নিত্য যাত্রীরা। যার জেরে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক অবরুদ্ধ হয়ে রইল শিয়ালদহ মেন লাইন। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সোদপুর শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:৫৬
Share:

অবরোধ চলছে সোদপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

যাত্রী অবরোধের জেরে ধুন্ধুমার অবস্থা হল পূর্ব রেলের সোদপুর স্টেশনে। রেলের অফিসে ভাঙচুরের পাশাপাশি সেখানে আগুন লাগানোর চেষ্টার অভিযোগও ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ও র‌্যাফও নামাতে হয়। শেষে যাত্রীদের একাংশই অবরোধকারীদের সরিয়ে দেন। তাঁদের চেষ্টায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর শনিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

Advertisement

আগে থেকেই পূর্ব রেল ঘোষণা করেছিল, সিগন্যাল ব্যবস্থা ঠিক করতে কয়েক দিন ধরে মোট ১৫৮টি ট্রেন বাতিল করা হবে। যে ট্রেনগুলো চলার কথা ছিল, সেগুলোও অত্যধিক দেরিতে যাতায়াত করছিল বলে অভিযোগ। তার মধ্যেই এ দিন সোদপুর স্টেশনে রেলের তরফে ভুল ঘোষণা করা হয়। এর জেরে এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ যাত্রী বিক্ষোভ শুরু হয় সোদপুরে।

যাত্রীদের অভিযোগ, এ দিন সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ একটি গ্যালপিং ডাউন রানাঘাট লোকাল সোদপুরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, নির্ধারিত সময়ে বেশ কিছু ক্ষণ পর ট্রেনটি এলেও তা সোদপুরে না দাঁড়িয়ে সজোরে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়ে যায়। তার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। লাইনে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সোদপুর। বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রেল চলাচল।

Advertisement

আরও পড়ুন: থিকথিকে ভিড়, জ্যাম, ক্যাব চাইছে ৬০০ টাকা, সোদপুর থেকে অফিস এলাম আজ যে ভাবে

এটা শুধু একদিনের ঘটনা নয়। যাত্রীদের দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ, শিয়ালদহ মেন শাখায় ট্রেন অনিয়মিত ভাবে চলে। তার উপর ব্যারাকপুর-ইছাপুরের মাঝখানে অটোম্যাটিক সিগন্যাল সিস্টেম চালু করতে রেল বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করেছে।

এ দিন রানাঘাট লোকাল না দাঁড়ানোয় সোদপুরে কেবিন রুমের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েক জন যাত্রী। তাঁদের দেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাকি যাত্রীরাও। রেললাইনের উপর নেমে ট্রেন অবরোধ করেন যাত্রীদের একাংশ। সোদপুরের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আপ কল্যাণী লোকাল এবং ২ নম্বর স্টেশনে ডাউন শান্তিপুর লোকাল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। অভিযোগ, স্টেশন মাস্টারের অফিসে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় অফিসে। মাথা ফেটে যায় রেলের এক অফিসারের। ভেঙে দেওয়া হয় স্টেশনে ডিসপ্লে বোর্ড।

আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় হাজার হাজার ম্যাডনেস ড্রাগের ট্যাবলেট পাচার, ধৃত ৬

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের বিশাল বাহিনী। যাত্রীদের রেল লাইন থেকে সরিয়ে ট্রেন চলাচলের চেষ্টা করে তারা। কিন্তু, কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি। এরই মধ্যে রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়, আগামী তিন দিন সমস্ত গ্যালপিং ট্রেন সব স্টেশনে দাঁড়াবে। শেষে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ যাত্রীদের একাংশ অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সরিয়ে অবরোধ তোলেন। ফের শুরু হয় ট্রেন চলাচল। তবে ট্রেন চলা শুরু হলেও পরিষেবা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন