প্রতীকী ছবি।
সিপিএমের যা দস্তুর, এ বার যেন তারই ছোঁয়া প্রদেশ কংগ্রেসে! কালীপুজো মেটার পরে দু’দিনের লম্বা বৈঠকে বসছে বিধান ভবনে। মূল উদ্দেশ্য, ‘লোক সম্পর্ক অভিযানে’র পরিকল্পনা চূড়়ান্ত করা। সচরাচর সিপিএমে দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকের রেওয়াজ আছে। যা এ বার দেখা যাবে কংগ্রেসেও।
এআইসিসি-র তরফে রাজ্যে কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈ প্রদেশ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, বাংলায় উৎসবের মরসুম শেষ হলে ‘লোক সম্পর্ক অভিযান’ শুরু করতে হবে। তার আগে দলের সর্বস্তরের নেতাদের নিয়ে ওই কর্মসূচি ব্যাখ্যা ও খুঁটিনাটি ঠিক করা হোক, এমনই চেয়েছেন তিনি। তার পরেই আগামী ১৩ ও ১৪ নভেম্বর প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ধিত বৈঠক ডাকা হয়েছে বিধান ভবনে। শুধু পি চিদম্বরম ও শশী তারুরই নন। নভেম্বর মাস জুড়়ে ইস্তাহারের জন্য মত আদানপ্রদানের লক্ষ্যে রাজ্যে আসবেন মুকুল সাংমা, সচিন রাও, সুস্মিতা দেব, মনপ্রীত ব্রার, রজনী পাটিলের মতো এক ঝাঁক এআইসিসি নেতা-নেত্রী। তাঁদের জন্য কর্মসূচির রূপরেখাও চূড়ান্ত করতে হবে প্রদেশ কংগ্রেসকে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের বক্তব্য, ‘‘জনসম্পর্ক অভিযান এখন এআইসিসি-র কাছে অগ্রাধিকার। তার জন্য রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীদেরও প্রস্তুত হতে হবে। সেই সংক্রান্ত আলোচনার জন্যই বৈঠক ডাকা হয়েছে।’’ প্রদেশ স্তরের নেতৃত্ব, সব শাখা সংগঠনের প্রধান, প্রাক্তন ও বর্তমান সাংসদ এবং বিধায়কের পাশাপাশি জেলা নেতৃত্বকেও ওই দু’দিনের বৈঠকে ডাকা হবে। বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতি এবং রাজ্য সরকারের ‘সার্বিক ব্যর্থতা’র বিরুদ্ধে প্রদেশ কংগ্রেসের সমাবেশ করার কথা রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। সম্ভবত ওই সমাবেশ হবে ২০ তারিখের পরে।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ, নারী ও শিশুকল্যাণ, সীমান্ত এলাকার সমস্যা— এই রকম নানা বিষয় নিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে ইস্তাহারের খসড়া তৈরি করবে রাহুল গাঁধীর কংগ্রেস। এআইসিসি-র প্রতিনিধিরা এসে এক এক জন এক একটি বিষয় ধরে মত বিনিময়ের আসরে যাবেন। তাঁদের জন্য প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের কাজও সেরে রাখছে প্রদেশ কংগ্রেস।