Pradhan Mantri Aawas Yojna

১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় পাকা বাড়ি তৈরি হবে কী ভাবে? কেন্দ্রীয় দলের সদস্যকে প্রশ্ন জনতার

গণপতিনগরে বাসিন্দা পুলিন দাস প্রশ্ন তোলেন, ‘‘১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে পাকা বাড়ি কী করে হবে?’’ কেন্দ্রীয় দলের সদস্য শৈলেশ জানান, সরকারি নিয়ম মেনে ২৫ বর্গ মিটারের বাড়ি ওই টাকায় করা সম্ভব।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩৪
Share:

পরিদর্শনের দ্বিতীয় দিনে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় দল। ফাইল চিত্র।

কোথাও শুনলেন, কাঁচা বাড়ির মালিকের নাম আবাসের তালিকায় ওঠেনি। কোথাও ঘুরে দেখলেন, তালিকা থেকে বাদ পড়া লোকজনের পাকা বাড়ি। পরিদর্শনের দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় দলকে এ-ও শুনতে হল, আবাস যোজনার ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় কি আদৌ পাকা বাড়ি তৈরি সম্ভব!

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুর এবং মালদহ, দুই জেলাতেই শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তদন্তে আসা কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। পূর্ব মেদিনীপুরের দলটি এ দিন সকালে দিঘা থেকে রামনগর, কাঁথি ও হেঁড়িয়া হয়ে নন্দকুমার ব্লকের কুমোরচক পঞ্চায়েতে যান। কুমোরচক বাঁশতলার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দুলাল মণ্ডল, গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য গোপাল বেরা এবং গ্রামের বাসিন্দারা কেন্দ্রীয় দলের গাড়ি থামিয়ে আবাস প্লাস তালিকা নিয়ে অভিযোগ জানান। কাঁচাবাড়ি থাকা সত্ত্বেও চূড়ান্ত তালিকায় নাম বাদ পড়েছে শুনে কেন্দ্রীয় দলটি স্থানীয় শ্যামপদ মণ্ডলের বাড়িতে যায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখে। পরে যান নন্দকুমারের বরগোদারগোদা গ্রামেও।

বেলা একটা নাগাদ উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে পৌঁছে যান তাঁরা। সেখানে তখন আবাসের উপভোক্তাদের নিয়ে সচেতনতা শিবির চলছিল। কেন্দ্রীয় দলের সদস্য শৈলেশ কুমার সেখানে জানান, আবাস যোজনায় তৈরি পাকাবাড়ির সঙ্গে শৌচাগার না থাকলে তাঁকে সম্পূর্ণ বাড়ি হিসেবে মান্যতা দেওয়া হবে না। তখন গণপতিনগরে বাসিন্দা পুলিন দাস প্রশ্ন তোলেন, ‘‘১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে পাকা বাড়ি কী করে হবে?’’ শৈলেশ জানান, সরকারি নিয়ম মেনে ২৫ বর্গ মিটারের বাড়ি ওই টাকায় করা সম্ভব।

Advertisement

মালদহে যাওয়া কেন্দ্রীয় দলটি সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চরি অনন্তপুর পঞ্চায়েতের কামারপাড়া গ্রামে পৌঁছন। কাঁচাবাড়ির মালিকদের পাশাপাশি, তালিকায় থেকে বাদ পড়া কালিয়াচক থানার সিভিক ভলান্টিয়ার, রেশন ডিলার, অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীর পাকা বাড়িও ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় দলের তিন সদস্য। পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তালিকায় কী ভাবে নাম উঠল, উপভোক্তাদের কাছে জানতে চান। সিভিক ভলান্টিয়ার অভিজিৎ পান্ডে বলেন, ‘‘দশ‌ হাজারেরও কম বেতন। ইটের ছোট গাঁথনি করে কংক্রিটের টিন দিয়ে কোনও রকমে থাকছি। তা-ও নাম বাদ পড়েছে।’’

রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিধানসভা মোথাবাড়ি কেন্দ্রের ফিল্ডপাড়া, গোঁসাইহাট, আকন্দবেরিয়ার মতো গ্রামেও একাধিক বাড়ি ঘুরে দেখেন তাঁরা। তবে কিছু বলতে চাননি। ইংরেজবাজার ব্লকের কামাত গ্রামেও দুপুরেই যায় প্রতিনিধি দল। মন্ত্রী সাবিনার অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক সুবিধা পেতে কেন্দ্রীয় দলকে পাঠিয়েছে বিজেপি।’’ উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘তালিকায় অসঙ্গতি আছে বলেই তৃণমূল ভয় পাচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন