State news

খাস কলকাতায় হাজার হাজার ম্যাডনেস ড্রাগের ট্যাবলেট পাচার, ধৃত ৬

এ রকমই দু’হাজারেরও বেশি বেআইনি মাদক নিয়ে ধরা পড়ল ৬ জন। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:১০
Share:

ধৃতদের কাছ থেকে এই ট্যাবলেটগুলোই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।

একটা ট্যাবলেটেই অন্যরকম অনুভূতি হতে শুরু করে। বেপরোয়া হয়ে ওঠা যায়। কোত্থেকে যেন একটা পাগলামি ভর করে নিজের উপর। গ্রে মার্কেটে তাই প্রচুর চাহিদা এই ম্যাডনেস ড্রাগের। এ রকমই দু’হাজারেরও বেশি বেআইনি মাদক নিয়ে ধরা পড়ল ৬ জন। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দারা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে আব্দুল রশিদ, আব্দুল সাহিদ এবং আব্দুল জাহিদ একবালপুরের বাসিন্দা। রাজু আহমেদ বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং নারায়ণ মণ্ডল ও সাবির শেখ মালদহের বাসিন্দা।

গোয়ান্দারা জানান, এই ড্রাগটার নাম আসলে ইয়াবা। কিন্তু ‘স্বভাব’-এর জন্যই এই ট্যাবলেট বা ড্রাগগুলোকে বলা হয় ম্যাডনেস ড্রাগ বা ক্রেজি ড্রাগ। অনেকে আবার একে নাজি ড্রাগও বলে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিজেদের সতেজ রাখতে সেনাবাহিনী এই ড্রাগ নিত।

Advertisement

আরও পড়ুন: শিয়ালদহ সেতুর নীচে পুরসভাকে ভাড়া দিয়েই কারবার, মেরামতি কী ভাবে?

জাল নোট এবং বেআইনি অস্ত্র যে করিডর দিয়ে চোরাপথে অন্য দেশে ছড়িয়ে যায়, চোরাপথে সেই করিডরের দিয়েই এই ড্রাগ এ দেশে ঢুকছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।

কী ভাবে ঢুকছে?

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এর মূল উপাদান মেথামফেটামাইন এবং ক্যাফেইন। এই উপাদানগুলি ভারতে পাওয়া যায়। কিন্তু মাদক ট্যাবলেটগুলো এখানে তৈরি হয় না। তার জন্য মণিপুর হয়ে কাঁচামালগুলো গিয়ে পৌঁছয় মায়ানমারে। সেখানেই ট্যাবলেট তৈরি হয়। তারপর তার একটা অংশ চোরাপথে পৌঁছয় তাইল্যান্ডে এবং আর একটা অংশ ভারতে। মালদহের কালিয়াচক দিয়ে ঢুকে চোরাপথে পৌঁছয় বসিরহাটে। আর সেখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছয় বাংলাদেশে। মালদহের যে দু’জন ধরা পড়েছে, তারাই এই ট্যাবলেটগুলো বিক্রি করতে এসেছিল, আর বাংলাদেশের ওই যুবক তাদের থেকে কিনতে এসেছিল।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, প্রতিটা ট্যাবলেট তৈরি করতে খরচ হয় ২০ টাকা। যেখানে গ্রে মার্কেটে প্রতি ট্যাবলেট ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। বাংলাদেশে খুবই সহজলভ্য এই ড্রাগ। যা সে দেশের খুব বড় মাথা ব্যথার কারণও। সম্প্রতি বাংলাদেশ জুড়ে তল্লাশি এবং ধরপাকড় শুরু করেছে গোয়েন্দারা। যার জন্য ঘুরপথে মালদহই এখন এই ড্রাগ পাচারের করিডর হয়ে উঠছে। আর বসিরহাট সীমান্তের দু’দিকের বাসিন্দারাই মূলত চোরাকারবারের সঙ্গে যুক্ত, সেটাই এখন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

(শহরের প্রতি মুহূর্তের সেরা বাংলা খবর জানতে পড়ুন আমাদের কলকাতা বিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন