ধৃত অসীম সরকার
দামি ক্যামেরার জন্যই কলকাতার হরিদেবপুরের অসীমকান্তি পালকে খুন করেছিল বছর চব্বিশের অসীম সরকার। রবিবার সন্ধ্যায় সেই ক্যামেরা উদ্ধার করল পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত অসীমকে নিয়ে হরিণঘাটা থানা এলাকার দিঘল গ্রামের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় ক্যামেরাটি। সেখান থেকেই একটি রক্তমাখা জামা ও খুনের কাজে লাগানো ছুরিটি পাওয়া গিয়েছে। বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় বলেন, ‘‘ধৃতকে জেরা করার পরই ওই ক্যামেরা ও ছুরি কোথায় আছে তা জানা যায়। এ দিন তাঁর বাড়ি থেকে সেগুলি নিয়ে আসা হয়েছে।’’
পুলিশের দাবি, দামী ক্যামেরাটা একবার হাতে এলে তা ভাড়া দিয়ে অন্তত কিছু টাকা আসবে ঘরে— এমনটাই ভেবেছিল অসীম সরকার। ভাল একটা ক্যামেরা হাতে থাকলে ফিল্ম-সিরিয়ালের জগতে পা ফেলতেও সুবিধা হবে, এই আশাও ছিল তার। পুলিশকে অসীম জানিয়েছে, এই কারণেই অসীমকান্তিবাবুকে বনগাঁয় ডেকে এনে খুন করে সে। জেরায় সে জানিয়েছে, গত নভেম্বরে বহরমপুরে অসীমকান্তিবাবুর সঙ্গে স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি ছবির শ্যুটিংয়ে গিয়ে তাঁর ৬ লক্ষ টাকা দামের ক্যামেরাটি নজরে পড়ে অসীমের। তখন থেকেই সেটি হাতানোর কথা ভাবতে শুরু করে সে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এক বাংলাদেশি প্রযোজকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৩০ জুলাই রাতে অসীমকান্তিবাবুকে গোপালনগরের সাতবেড়িয়া রেলস্টশন এলাকায় ডেকে আনে অসীম। তারপর ধারাল ছুরি দিয়ে গলার নলি কেটে অসীমকান্তিবাবুকে খুন করে। দেহটি পাট খেতে ফেলে চম্পট দেয় অসীম। পরদিন পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। খুনের সময় অসীমের জামাতে রক্ত লেগে যায়। তার সঙ্গে অন্য একটি জামা ছিল। রক্তমাখা জামাটি ব্যাগে পুরে অন্য জামাটি পরে নেয় সে।