আলিপুরে বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে দু’সপ্তাহ পর তদন্ত শুরু করল পুলিশ

পুলিশের অন্য একটি দল যায় রসিকার শ্বশুরবাড়ি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২১ ২০:২৭
Share:

আলিপুরে ব্যবসায়ী পরিবারের বধূর রহস্য মৃত্যুতে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। ওই বধূর মৃত্যুতে তাঁর শ্বশুরবাড়ির হাত ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। সেই মতো বুধবার মৃতার বাবা-মায়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখে নতুন করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড়ির নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় রসিকা আগরওয়াল জৈন নামে ওই বধূর। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পিছনে তাঁর শ্বশুরবাড়ির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন রসিকার বাপেরবাড়ির লোকজন। ১৭ ফেব্রুয়ারি শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেন তাঁরা। তার পর থেকে ওই ঘটনা নিয়ে কোনও পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়েনি। পুলিশ কোনও তদন্তও শুরু করেনি বলে অভিযোগ তোলেন রসিকার পরিবারের লোকজন। অবশেষে প্রায় দু’সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর বুধবার ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

তদন্তের কাজে বুধবার পুলিশের একটি দল রসিকার বাপেরবাড়ি যান। কথা বলেন তাঁর বাবা-মা ও ভাইয়ের সঙ্গে। তাঁদের অভিযোগ ফের নথিভুক্ত করা হয়। পুলিশের অন্য একটি দল যায় রসিকার শ্বশুরবাড়ি। সেখান থেকে তাঁরা কয়েকটি ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, পুলিশ রসিকার স্বামী কুশল আগারওয়ালের তিনটি ফোন ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে রসিকার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের।

Advertisement

গত বছর আলিপুরের রাজা সন্তোষ রোডের নাম করা ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে রসিকার সঙ্গে বিয়ে হয় আলিপুরেরই ডিএল খান রোডের সম্পন্ন ব্যবসায়ীর ছেলে কুশলের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই রসিকার উপর অত্যাচার চালাতেন তাঁর স্বামী। এমনকি মাদকাসক্ত হয়ে ওই বধূর উপর নির্যাতন করা হত বলেও অভিযোগ পরিবারের লোকের। এ নিয়ে রসিকার বাবা বলেন, ‘‘কুশল টাকা চেয়ে বার বার নির্যাতন করত আমাদের মেয়ের উপর। এ নিয়ে রসিকা একাধিক বার আমাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল। আমরা কুশলের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা সেই সময় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এই ঘটনা বলে দেয় কোনও সমাধান হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন