গুলিতে তিন মোর্চা কর্মীর খুনে গুরুঙ্গদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পুলিশের

খুন ছাড়াও ষড়যন্ত্র, পুলিশের উপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া ইত্যাদি নানা অভিযোগ আনা হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। পুলিশের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহিন বলে উড়িয়ে দিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তরের দাবি করেছে মোর্চা সহকারী সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ১৭:০৫
Share:

বিমল গুরুঙ্গ। ছবি: এএফপি।

পাহাড়ের সাম্প্রতিক মোর্চা-পুলিশ সংঘর্ষে তিন মোর্চা সমর্থকের মৃত্যুর পর পুলিশের দিকেই আঙুল তুলেছিল মোর্চারা। তাদের দাবি ছিল পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ওই সমর্থদের। অন্যদিকে, গুলি চালানোর ঘটনাকে অস্বীকার করে পুলিশ। পাল্টা নিশানা করা মোর্চাদেরই। এ বার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সস্ত্রীক বিমল গুরুঙ্গ-সহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে খুনের মামলা দায়ের করল পুলিশ।

Advertisement

খুন ছাড়াও ষড়যন্ত্র, পুলিশের উপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া ইত্যাদি নানা অভিযোগ আনা হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। পুলিশের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহিন বলে উড়িয়ে দিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তরের দাবি করেছে মোর্চা সহকারী সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গ। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘গোটা ঘটনাটাই হাস্যকর। পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। আর তাতেই আমাদের তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা সবাই দেখেছে। তারপরেও পুলিশ মোর্চার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে। সবটাই সাজানো ঘটনা। যেন তেন প্রকারে পুলিশ আমাদের ফাঁসাতে চাইছে। আমরা সিবিআই তদন্ত চাইছি।’’

আরও পড়ুন: দুর্নীতি ঢাকা দিতেই কি গোর্খাল্যান্ড

Advertisement

অশান্তির আগুন তো জ্বলছিলই। এই আগুনে ঘি পড়ে মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গের বাড়ি ও অফিসে পুলিশি অভিযানের পর থেকে। মোর্চা নেতা বিক্রম রাইকে আটক করে পুলিশ। পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয় বিমল গুরুঙ্গের ঘনিষ্ঠ বিনয় তামাঙ্গের বাড়িতেও। ফলে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাহাড়ের পরিস্থিতি। ধিকি ধিকি জ্বলতে থাকা আগুন বিরাট আকার নেয় গত ১৭ জুন, বৃহস্পতিবার। মোর্চার প্রতিবাদী মিছিলকে ঘিরে উত্তেজনা, গোলমাল ছড়ায় সর্বত্র। কয়েক হাজার মোর্চা সমর্থক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করতে থাকে। মোর্চা-পুলিশ সংঘর্ষে তুমুল সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় পাহাড়ে।

অশান্তি সবচেয়ে বেশি ছড়ায় সিংমারি এলাকায়। গুলি চলে। খুকরির কোপে রক্তাক্ত হয় এলাকা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গের দাবি ছিল পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। যদিও গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেনি পুলিশ। উল্টে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, মিছিলে অশান্তি ছড়ায় মোর্চারাই। মিছিলের ভিতর থেকেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। আর সেই গুলিতেই মারা যান এক মোর্চা সমর্থক।

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, বেআইনী কোনও কাজ বরদাস্ত করা হবে না। মোর্চারা চাইলে আদালতে যেতে পারে। তবে আইন আইনের পথেই চলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন