কে এন রামচন্দ্রন
দু’দিন পর নকশাল নেতা কে এন রামচন্দ্রনের খোঁজ মিলল ঠিকই, তবে তাঁর অন্তর্ধান রহস্যের কিনারা হল না।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ শিয়ালদহ-রাজধানী এক্সপ্রেসে দিল্লি পৌঁছেছেন সিপিআই (এমএল) রেড স্টার দলের সাধারণ সম্পাদক রামচন্দ্রন। তার পর এক বিবৃতিতে ওই নেতা দাবি করেছেন, তিনি যাতে মঙ্গলবার ভাঙড় যেতে না পারেন, সেই জন্যই রবিবার বিকেলে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। যারা অপহরণ করেছিল, তারা নিজেদের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসার বলে দাবি করে। মালয়ালি এক ব্যক্তি নিজেকে অফিসার বলে দাবি করে তাঁকে জেরাও করে। এক উত্তর ভারতীয় মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি কেন্দ্রীয় আইবি-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রধান বলেও দাবি করেন। আনন্দবাজারকে ফোনে রামচন্দ্রন জানান, অপহরণকারীরা কলকাতা পুলিশের লোক বলেই তাঁর সন্দেহ। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপের জন্য কলকাতার নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁর দলের নেতৃত্ব।
নকশাল নেতার বক্তব্য, লখনউ থেকে রওনা হয়ে রবিবার বিকেলে কলকাতা স্টেশনে পৌঁছনোর পর পাঁচ-ছ’জন জোর করে তাঁর চোখ বেঁধে, মুখ চাপা দিয়ে একটি গাড়িতে তোলে। গাড়িতে ঘণ্টা খানেক যাওয়ার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বাড়িতে, সম্ভবত সেটি শহরের বাইরে। তবে ওই নকশাল নেতার কথায়, ‘‘অপহরণকারীরা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বা রাজ্যের গোয়েন্দা নাকি শাসক দলের কোনও নেতা বা মন্ত্রীর পোষা গুন্ডা, সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। আমার ধারণা, তারা কলকাতা পুলিশের লোক।’’
রামচন্দ্রন জানান, সোমবার বিকেলে তাঁর চোখ খুলে হাতে শিয়ালদহ-রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট ধরিয়ে দুর্গাপুর স্টেশন থেকে ওই ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়। সঙ্গের সুটকেশটি ফেরত দেওয়া হলেও তা থেকে হাজার তিনেক টাকা বার করে নেওয়া হয়েছে। মোবাইল ফোনটি চেয়েও ফেরত পাননি। ট্রেনের টিকিটটিও অন্য কারও নামে কোনও ট্র্যাভেল এজেন্সি থেকে কাটা হওয়ায় তিনি অসুবিধায় পড়েন। পরে কর্তব্যরত রেলকর্মীদের সহায়তায় তিনি দিল্লি পৌঁছতে পারেন।
কলকাতা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত গোয়েন্দাপ্রধান বিশাল গর্গ অবশ্য বলেন, ‘‘এই ব্যাপারে সোমবার নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তার ভিত্তিতে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি, ঠিক কী ঘটেছিল।’’