প্রতীকী ছবি।
জাল নোট ঢোকে যখন-তখন। আসে নানা ধরনের মাদক। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত পেরোচ্ছে সতর্কীকরণের বিজ্ঞপ্তিহীন সিগারেটও। শুক্রবার গুয়াহাটি শহরের উপান্তে চাংসারি উড়ালপুলের কাছে বাসে ১৪ লক্ষ বিদেশি সিগারেট পাওয়া গিয়েছে।
চোরাপথে মায়ানমার থেকে ভারতে আসার পথে ওই বিদেশি সিগারেট বাজেয়াপ্ত করে ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। বাসটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই সিগারেট গুয়াহাটি থেকে শিলিগুড়ি আসছিল। গ্রেফতার করা হয়েছে এক জনকে। তাঁকে জেরা করে গুয়াহাটির একটি গুদামে পাওয়া যায় আরও এক লক্ষ সিগারেট। আটক ১৫ লক্ষ সিগারেটের বাজারদর দেড় কোটি টাকা। ওই সিগারেটের একাংশ কলকাতাতেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন ডিআরআই অফিসারেরা।
ডিআরআই জানায়, আটক সিগারেট মায়ানমারে তৈরি হয়েছে। মায়ানমারের সঙ্গে মণিপুরের মোরে শহরের সীমান্ত দিয়েই সেগুলো ঢুকেছে ভারতে। বিদেশ থেকে ভারতে সিগারেট আমদানি করলে ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক দেওয়ার কথা। তা ছাড়াও ভারতে বিক্রি করতে হলে সিগারেটের প্যাকেটের ৮৫ শতাংশ জুড়ে ধূমপানের কুফল সম্পর্কে সচেতন করে ছবি-সহ সতর্কবার্তা থাকার কথা। আটক সিগারেটের প্যাকেটে সেই ছবি-সহ সতর্কীকরণ নেই। ফলে সোজা পথে শুল্ক দিলেও ওই সিগারেট ভারতের বাজারে বিক্রি করার অনুমতি মিলত না।