মাইক বন্ধ করতে গিয়ে জুটল মারধর

উৎসবের মরসুমে কখনও শব্দবাজি, কখনও মাইকের তাণ্ডব রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৪২
Share:

উৎসবের মরসুমে কখনও শব্দবাজি, কখনও মাইকের তাণ্ডব রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা।

Advertisement

বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার চাঁদপাড়ায় মাইকের দাপট রুখতে গিয়ে ক্লাব সদস্যদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। বাগুইআটি থানার পুলিশও এর আগে শব্দবাজির দাপট রুখতে গিয়ে মার খেয়েছে পর পর দু’দিন।

কী হয়েছিল বুধবার রাতে?

Advertisement

পুলিশের কাছে খবর আসে, রাত ১০টা বেজে গেলেও তারস্বরে মাইক বাজছে চাঁদপাড়ার ওই পুজো মণ্ডপের বাইরে। কিছু মদ্যপ যুবক নাচানাচি করছে। স্থানীয় ক্লাব দিগন্ত সঙ্ঘের ছেলেরাই গাঁক গাঁক করে মাইক বাজিয়ে হুজ্জুত করছে বলে অভিযোগ আসে গাইঘাটা থানার কাছে। খবর পেয়ে তিন পুলিশ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যান সাব ইন্সপেক্টর বাপ্পা মিত্র । মাইক বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু পুলিশ জানায়, নির্দেশ শুনে শব্দ বন্ধ করা তো দূরের কথা, মত্ত যুবকের দল ধুয়ো তোলে, ‘‘আরও জোরে বাজা!’’

বাধ্য হয়ে নিজেরাই মাইক বন্ধ করার চেষ্টা করেন পুলিশ কর্মীরা। তখনই ক্লাবের জনা কুড়ি ছেলে তাঁদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। টর্চ দিয়ে বাপ্পাবাবুর মাথার পিছনে ঘা মারা হয়। বাকিরাও অল্পবিস্তর জখম হন। চাঁদপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় সকলকে। তবে বাপ্পাবাবুর মাথা ফুলে থাকায় চিকিৎসকেরা সিটি স্ক্যান করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

পুলিশের উপরে আক্রমণের খবরে আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, লক্ষ্মণচন্দ্র কীর্তনিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দান, বেআইনি জমায়েত ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অন্য অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।’’

সংশ্লিষ্ট ক্লাবটি যাতে ভবিষ্যতে কালীপুজো করার অনুমতি না পায়, সে জন্য আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। সকলেই পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement