Darjeeling Hills University

‘নেই রাজ্যে’ দার্জিলিং হিল্‌স বিশ্ববিদ্যালয়

২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পর থেকে গত দু’বছরে দেড়শোর মতো পড়ুয়া ভর্তি হলেও, এখন কেবল তৃতীয় সিমেস্টারের ৭১ জন পড়ুয়া রয়েছেন।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:০১
Share:

দার্জিলিং হিল্‌স বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

স্থায়ী তো দূরের কথা, অস্থায়ী উপাচার্যও নেই। রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসারের মতো পদে নেই কোনও আধিকারিক। কর্মী নিয়োগ হয়নি। স্থায়ী ক্যাম্পাস বা পড়ানোর জায়গা নেই। এ বছর পড়ুয়া ভর্তি নেওয়াও হয়নি। সব মিলিয়ে ‘নেই রাজ্যে’ রয়েছে দার্জিলিং হিল্‌স বিশ্ববিদ্যালয়। পাহাড়বাসীর জন্য রাজ্য সরকারের ‘গড়া’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

Advertisement

শুক্রবার কার্শিয়াঙে সরকারি কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কার্শিয়াঙে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্র হচ্ছে। দার্জিলিঙে সিঙ্কোনার জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে।’’ পাহাড়কে তিনি ‘এডুকেশন হাব’ করার বার্তাও দেন। প্রশ্ন উঠেছে, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোই গড়ে ওঠেনি, সেখানে পড়াশোনা হবে কী ভাবে? সূত্রের দাবি, ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পর থেকে গত দু’বছরে দেড়শোর মতো পড়ুয়া ভর্তি হলেও, এখন কেবল তৃতীয় সিমেস্টারের ৭১ জন পড়ুয়া রয়েছেন। অনলাইন ক্লাসই ভরসা। গত বছর নভেম্বর মাসে মংপুর আইটিআই কলেজের ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাস চালুর কথা ঘোষণা হলেও, পড়ুয়াদের বসার জায়গা, ছাত্রাবাস বা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থাকার জায়গা না থাকায়, তা চালু করা যায়নি। শেষ অস্থায়ী উপাচার্য প্রেম পোদ্দারের চেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘লোগো’ শুধু তৈরি হয়। ‘স্ট্যাটুট’ থেকে কর্ম সমিতি, ‘কোর্ট’— কিছুই গঠন হয়নি।

সূত্রের আরও দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আপত্তি তুলতে পারে বলে প্রথম ব্যাচের পড়ুয়াদের চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ দিনের অফলাইন ক্লাসের বন্দোবস্ত হয়। অফলাইনে পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থা করা হয়। বাকি সময় কয়েকটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ অনলাইনে ক্লাস করান।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক দেবাশিস দত্ত দার্জিলিং হিল‌্‌স বিশ্ববিদ্যালয়েও একই পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের মুখের দিকে তাকিয়ে পরীক্ষা ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। দফতরের যে কর্মীরা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত কাজ করেন, তাঁরা সে পারিশ্রমিক পান না। ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এজেন্সিকে টাকা দিতে হয়। উপাচার্য না থাকলে, তা কেউ অনুমোদন করতে পারবেন না বলে এ বার ভর্তি নেওয়া সম্ভব হয়নি।’’ এই পরিস্থিতিতে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘পাহাড়কে বঞ্চনা করা হচ্ছে।’’ শিলিগুড়ির মেয়র তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব পাল্টা বলেন, ‘‘ পাহাড়ে একটা নয়, দু’টো বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। দার্জিলিং হিল্‌স বিশ্ববিদ্যালয় তার মতো গড়ে উঠবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন