— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় মোন্থা যেতে না যেতেই নতুন করে হাজির হয়েছে আর এক নিম্নচাপ। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা ক্রমশ সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। এর প্রভাবে আপাতত উত্তাল থাকবে সমুদ্র। হালকা বৃষ্টিও হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫.৮ কিলোমিটার উঁচুতে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। পূর্ব বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্ব অসমে রয়েছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। এ ছাড়া, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন মায়ানমার উপকূলে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত একই জায়গায় ছিল। বুধবারের মধ্যে সেটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হয়ে ক্রমশ উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে মায়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল অভিমুখে এগোবে। এর প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার উত্তাল থাকবে সমুদ্র। ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। তাই আপাতত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তবে নিম্নচাপের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে সে ভাবে পড়বে না। আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া মোটের উপর শুষ্কই থাকবে। তবে শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলবর্তী বাকি জেলাগুলিতেও আকাশ মেঘলা থাকবে। হালকা বৃষ্টিও হতে পারে। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গের কোথাও আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মোটামুটি শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে সর্বত্র। তবে দার্জিলিং ও কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায় রাতে ও ভোরে কুয়াশার সম্ভাবনা বাড়বে।
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ০.৮ ডিগ্রি কম। সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের থেকে ১.১ ডিগ্রি কম। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী দু’দিনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমবে বলে জানিয়েছে আলিপুর।