ডাকঘরের পরিষেবা নিয়ে গ্রাহক মহলে ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে।
পরিষেবা উন্নত করতে ডাকঘরে নতুন সফটওয়্যার বসানো হচ্ছে। কিন্তু উন্নতি দূরের কথা, সেই সফটওয়্যারই উল্টে ডাক বিভাগের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন প্রযুক্তিতেও চেক ক্লিয়ারিং, টাকা তোলার মতো বিভিন্ন কাজ যাচ্ছে আটকে। ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা।
ডাকঘরের পরিষেবা নিয়ে গ্রাহক মহলে ক্ষোভের অন্ত নেই। সম্প্রতি গ্রামীণ ডাকসেবকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটের জেরেও কিছু দিন ব্যাহত হয় পরিষেবা। তার পরে বিপত্তি বাধিয়েছে নতুন প্রযুক্তি।
ডাকঘরের সব কাজকে এক ছাতার তলায় আনতে দেশ জুড়ে সব ডাকঘরে ‘কোর সিস্টেম ইন্ট্রিগ্রেটেড’ (সিএসআই) সফটওয়্যার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগ। গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, সফটওয়্যার বসানোর পরে অনেক জায়গায় দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। ডাকটিকিট মিলছে না। পোস্টাল লাইপ ইনসিওরেন্স বা পিএলআই-এর কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে না। ‘ম্যাচিওরিটি’ বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও চেক দেওয়া যাচ্ছে না গ্রাহকদের। কিছু ক্ষেত্রে ডাকঘরের চেক বাউন্স করছে অর্থাৎ ফিরে আসছে। ডাকঘরে গিয়েও কাজ না-হওয়ায় প্রায়ই ফিরে যেতে হচ্ছে প্রবীণ নাগরিকদের। নাজেহাল হচ্ছেন ডাককর্মীরাও। বেলেঘাটা, সল্টলেক, বারাসত, বসিরহাট, নদিয়া, বাঁকুড়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একই ছবি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কিছু ডিভিশনে ওই সফটওয়্যার বসানোর কাজ সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে।
সমস্যার কথা মেনে নিচ্ছেন সিপিএমজি (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেল) অরুন্ধতী ঘোষ। তবে তাঁর বক্তব্য, সমস্যা হচ্ছে অন্যত্রও। যে-কোনও নতুন ব্যবস্থা প্রচলনের প্রাথমিক পর্বে কিছু কিছু সমস্যা হয়েই থাকে। যেমন হয়েছিল ‘কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেম’ চালু করার সময়েও। ‘‘সমস্যার সমাধানও হচ্ছে। গোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর হলে ডাকঘর পরিষেবা অনেক উন্নত হবে। গ্রাহকদের সুবিধা তো হবেই। উন্নত পরিষেবা দিতে সহজ পন্থায় দ্রুত খুঁটিনাটি তথ্য জানতে পারবেন কর্মীরাও,’’ বলেন অরুন্ধতীদেবী।