আলু-সঙ্কট মোকাবিলায় চুক্তি চাষের সওয়াল সিদ্ধার্থের

রাজ্যে আলুচাষিদের সঙ্কটের জন্য মমতা সরকারের চুক্তি চাষ বিরোধিতা-সহ কয়েকটি নীতিকে দায়ী করলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। তিনি শনিবার কটাক্ষ করে বলেন, “এ রাজ্যে আলুচাষিদের আত্মহত্যা মমতারই তৈরি।” আলু চাষিদের সঙ্কট দেখতে আজ, রবিবার হুগলি যাবেন সিদ্ধার্থনাথ। সঙ্গে যাবেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ, সাংসদ সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া প্রমুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৫ ০৩:২৫
Share:

রাজ্যে আলুচাষিদের সঙ্কটের জন্য মমতা সরকারের চুক্তি চাষ বিরোধিতা-সহ কয়েকটি নীতিকে দায়ী করলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। তিনি শনিবার কটাক্ষ করে বলেন, “এ রাজ্যে আলুচাষিদের আত্মহত্যা মমতারই তৈরি।” আলু চাষিদের সঙ্কট দেখতে আজ, রবিবার হুগলি যাবেন সিদ্ধার্থনাথ। সঙ্গে যাবেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ, সাংসদ সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া প্রমুখ।

Advertisement

সিদ্ধার্থনাথের ব্যাখ্যা, চুক্তি চাষ করলে কৃষকদের রোজগারের একটা নিশ্চয়তা থাকে। কিন্তু মমতা সরকার চুক্তি চাষের বিরোধী। ফলে এ রাজ্যের আলু চাষিরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাঁরা ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছেন। কিন্তু উৎপন্ন আলু বিক্রি করার জায়গা না থাকায় উপযুক্ত দাম পাননি। অনেক আলু নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন অনেক আলুচাষি। কিন্তু তাঁরা চুক্তি চাষ করলে ফসল বিক্রির নিশ্চিত সুযোগ পেতেন। সিদ্ধার্থনাথের আরও বক্তব্য, বড় জমি না থাকলে বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে চাষির চুক্তি করা সম্ভব নয়। আর এ রাজ্যে বড় জমির অভাব রয়েছে। মমতা সরকার চাষিদের সমবায় গড়ায় উৎসাহ দিলে বড় জমি পাওয়া যেত এবং চাষিরা বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে লেনদেন করে কিছুটা লাভবান হতেন। কিন্তু এ রাজ্যের সরকার সমবায়েও উৎসাহ দেয়নি।

সিদ্ধার্থনাথের আরও অভিযোগ, মমতা সরকার গত বছর অন্য রাজ্যে আলু রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ফলে ঝাড়খণ্ড, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশের ব্যবসায়ীরা এ বছর আর এ রাজ্যের চাষিদের কাছ থেকে আলু কিনতে চাননি। কিন্তু মোদী সরকার এ বছর ২০ ফেব্রুয়ারি আলু রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এ রাজ্য কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের সুফল কাজে লাগায়নি। সিদ্ধার্থনাথের কথায়, “মমতা নিজের ইগো নিয়ে বসে থেকেছেন! ভেবেছেন, কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইব? তাই এই ফল!” সিদ্ধার্থনাথ জানান, হরিয়ানায় প্রচুর রবিশস্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সে রাজ্যের সরকার বিনা সুদে কৃষি ঋণ, বিদ্যুৎ বিলে ছাড়-সহ পাঁচটি বিষয়ে কৃষকদের সাহায্য করছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “হরিয়ানায় মোদী সরকার পারলে এ রাজ্যে মমতা সরকার পারবে না কেন?”

Advertisement

রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, “চুক্তি চাষ হলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই আমরা ও পথে যাইনি।” তাঁর আরও বক্তব্য, “সিদ্ধার্থনাথ সিংহ পশ্চিমবঙ্গকে চেনেন না। আমরা আলু দেশে এবং বিদেশে রফতানির জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছি। সেই মতো আলু যাচ্ছেও।” মন্ত্রীর বক্তব্য, গত বছর আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার তা বাইরে পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement