প্রতীকী ছবি।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আন্দোলনে পাহাড়-পর্যটন তো মুখ থুবড়ে পড়েছেই। সেই সঙ্গে স্তব্ধ সেখানকার জলবিদ্যুৎ উৎপাদনও। পাহাড় থেকে ১০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ পেত রাজ্য। সেখানে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই ঘাটতি পূরণ করছে পুরুলিয়ার পাম্প স্টোরেজ প্রকল্প।
উদ্বৃত্ত-বিদ্যুতের রাজ্যে আপাতত সেই ঘাটতি সামাল দেওয়া গেলেও খরচ বেড়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার। কারণ, পুরুলিয়া পাম্প স্টোরেজ প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গেলে কয়লা পুড়িয়ে তাপবিদ্যুৎ দিয়ে পাম্প স্টোরেজের জল উপরে তুলতে হয়। সেই জল পরে নীচে ফেলে উৎপাদন করতে হয় বিদ্যুৎ। পাহাড়ের ১০০ মেগাওয়াটের জোগান অব্যাহত থাকলে বণ্টন সংস্থা যত সস্তায় বিদ্যুৎ পেত, তার থেকে পুরুলিয়ার প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অনেকটাই বেশি। যা শেষ পর্যন্ত রাজ্যের গ্রাহকদের ঘাড়েই চাপবে।
দার্জিলিং, কালিম্পং মিলিয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার একাধিক ছোট-মাঝারি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। রাম্মামে ৫১ মেগাওয়াট, জলঢাকার দু’টি ধাপ মিলিয়ে ৪৪ মেগাওয়াট এবং মংপু-কালীখোলা কেন্দ্রে তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এ ছাড়াও সিদরাপং, লিটল রঙ্গিত, রিনচিংটন এবং ফাজি এলাকায়
খুবই ছোট ছোট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।
সব মিলিয়ে পাহাড় থেকে রাজ্যে এই বর্ষার মরসুমে ১০০ মেগাওয়াটের মতো জলবিদ্যুৎ আসে। রাজ্যের গ্রিডে তা বিশেষ ভাবে কাজে লাগে। কারণ ওই বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ খুবই কম। ফলে বণ্টন সংস্থারও খানিকটা সাশ্রয় হয়। কিন্তু মোর্চার লাগাতার আন্দোলনের জেরে সব জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রই বন্ধ করে দিতে হয়েছে।