দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোমনাথের ভূমিকা স্মরণ প্রণবের

সমীর পূততুণ্ডদের পিডিএস পরিচালিত পত্রিকার আয়োজনে বৃহস্পতিবার ‘আমাদের অনুভবে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়’ শীর্ষক অনুষ্ঠান ছিল কলামন্দিরে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রধান বক্তা হিসাবে আসবেন বলেছিলেন বলেই এ দিন ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০১:০৬
Share:

কলামন্দিরে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র

জনজীবনে দুর্নীতির প্রভাব যাতে না পড়ে, তার জন্য লোকসভার স্পিকার হিসাবে দৃ়ঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। এ ভাবেই ‘তাঁর এমপি’-র অবদান স্মরণ করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সোমনাথবাবু দীর্ঘ দিন ছিলেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ এবং মিরিটি গ্রামে প্রণববাবুর পৈতৃক ভিটে সেই কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে। তাই প্রথম জনকে বরাবর ‘আমার এমপি’ বলেই উল্লেখ করতেন দ্বিতীয় জন। দুর্নীতির অভিযোগ এবং অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা নিয়ে সিবিআইয়ে যখন ডামাডোল চরমে এবং তার জেরে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল, সেই সময়েই জনজীবনকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে উদ্যোগের কথা স্মরণ করা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক জগতের অনেকেই।

Advertisement

সমীর পূততুণ্ডদের পিডিএস পরিচালিত পত্রিকার আয়োজনে বৃহস্পতিবার ‘আমাদের অনুভবে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়’ শীর্ষক অনুষ্ঠান ছিল কলামন্দিরে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রধান বক্তা হিসাবে আসবেন বলেছিলেন বলেই এ দিন ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রণববাবু কলাকাতায় আসতে পারেননি। তাঁর লিখিত বার্তা অনুষ্ঠানে পাঠ করে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। সেই বার্তাতেই প্রণববাবু মনে করিয়ে দিয়েছেন, ১২ জন সাংসদের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ আসার পরে দ্রুত কমিটি গড়ে তদন্তের কাজ সেরে তাঁদের সাংসদ-পদ খারিজ করে দিয়েছিলেন স্পিকার সোমনাথবাবু।

কংগ্রেসের সোমেনবাবু, প্রদীপ ভট্টাচার্যদের পাশাপাশি তৃণমূলের সৌগত রায়, সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ী, সুধাংশু শীলেরা যেমন অনুষ্ঠানে ছিলেন, তেমনই রাজনীতির বাইরের জগৎ থেকে প্রাক্তন বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়, নাট্যকার চন্দন সেন, শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া, শিল্পী শুভাপ্রসন্নেরা এ দিনের অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেছেন। তৃণমূল সাংসদ সৌগতবাবু বলেন, সোমনাথবাবু তাঁর জীবন থেকে দু’টি প্রশ্ন রেখে গিয়েছেন। প্রথমত, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বামপন্থীরা অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির পাশে থাকবে কি না? প্রথমে এই প্রশ্ন তুলে সিপিএমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল সৈফুদ্দিন চৌধুরীর। সৌগতবাবুর মতে, পরে প্রকাশ কারাট যখন সমর্থন প্রত্যাহার করে কংগ্রেসের সরকার ফেলে দিতে চাইলেন, সোমনাথবাবু রাজনৈতিক দিক থেকে এই প্রশ্নই তুলেছিলেন। আর দ্বিতীয়ত তাঁর বক্তব্য, স্পিকার পদে বসলে দলীয় রাজনীতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক থাকা উচিত কি না, এই প্রশ্নও তুলে দিয়ে গিয়েছেন প্রয়াত নেতা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন