Presidency Jail

Presidency Jail: অবশেষে সব জেলে ক্যামেরার নজরদারি

মোবাইল ফোন পাচারের অভিযোগ নতুন নয়। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বন্দিরা পালানোর চেষ্টাও করেছিল।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:০৮
Share:

ফাইল চিত্র।

কথায় আছে, ‘চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে’। কিন্তু রাজ্যের কারা দফতরের টনক নড়ল বন্দি নিখোঁজের ঘটনায়!

Advertisement

সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে এক বন্দি নিখোঁজের ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। তাতেই উঠে এসেছে নজরদারির ফাঁক। প্রেসিডেন্সির মতো স্পর্শকাতর জেলেও সিসিটিভির নজরদারি জোরালো নয়। ক্যামেরা থাকলেও তার ফুটেজ আদালতে জমা দিতে পারেননি কারা কর্তৃপক্ষ। কারা সূত্রের খবর, তবুও প্রেসিডেন্সিতে ক্যামেরা ছিল। রাজ্যের অর্ধেকের বেশি জেলে তা-ও নেই। তাই এ বার রাজ্যের সব জেলেই সিসি ক্যামেরা বসানো হবে বলে কারা দফতর জানিয়েছে। উন্নত করা হবে পরিকাঠামো।

প্রসঙ্গত, জেলের ভিতরে মাদক, মোবাইল ফোন পাচারের অভিযোগ নতুন নয়। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বন্দিরা পালানোর চেষ্টাও করেছিল। দমদম সংশোধনাগারেও বড় আকারের সংঘর্ষ হয়েছে। তার পরেও এত দিন এ ব্যাপারে কিছু ভাবা হয়নি কেন? সদুত্তর অবশ্য মেলেনি।

Advertisement

কারা দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের মোট ৬০টি সংশোধনাগারের মধ্যে প্রেসিডেন্সি, বারুইপুর-সহ ২৮টিতে সিসি ক্যামেরার নজরদারি আছে। ‘নেই’-এর তালিকায় রয়েছে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং জেলা সংশোধনাগার এবং বাকি মহকুমা সংশোধনাগারগুলি। এক কারা-কর্তা বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্সিতে এত দিন ১৬টি ক্যামেরা ছিল। এ বার আরও একশো ক্যামেরা বসাতে বলা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে ক্যামেরা বাড়ছে হুগলি জেলা সংশোধনাগার এবং শিলিগুড়ি সংশোধনাগারেও।’’

কারা সূত্রের দাবি, এত দিন রাজ্যের বেশির ভাগ সংশোধনাগারে সিসি ক্যামেরা না থাকলেও দফতরের শীর্ষ কর্তাদের কোনও হেলদোল ছিল না। তার ফলে ওই সংশোধনাগারগুলির ভিতরে কী হচ্ছে, তার কোনও প্রমাণ থাকত না। যেখানে ক্যামেরা বসানো হয়েছে, সেগুলির নজরদারি কেমন হয় তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। প্রেসিডেন্সির ফুটেজ দিতে না-পারাই তার প্রমাণ।

কারা দফতর সূত্রের খবর, সংশোধনাগারে সিসি ক্যামেরা বসানোর কিছু নিয়ম রয়েছে। কারণ, মানবাধিকার আইন অনুযায়ী বন্দিদের কুঠুরিতে ক্যামেরা বসানো যায় না। তাই কুঠুরির বাইরে এবং বিশেষ করে ঢোকা এবং বেরনোর পথ-সহ নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ক্যামেরা বসানো হবে। কারা-কর্তাদের মতে, বন্দি এবং কারারক্ষী, দু’দলের উপরেই নজরদারি প্রয়োজন। কারণ, জেলের ভিতরে মাদক কিংবা মোবাইল ফোন পাচারের সঙ্গে রক্ষীদের একাংশের যোগসাজশের অভিযোগ বার বার উঠেছে। অনেক রক্ষীকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে, ক্যামেরা বসানোর পরে তা বিশেষ বিশেষ সময়ে অকেজো হয়ে থাকবে না তো? কারা দফতরের বক্তব্য, ক্যামেরার রক্ষণাবেক্ষণ যাতে হয় এবং সব সময় রেকর্ডিং চালু থাকে সে ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন