সব আসন ভরাতে মান কমাতে চায় প্রেসিডেন্সি

ঐতিহ্যবাহী প্রেসিডেন্সির মান পড়ে যাচ্ছে বলে বিতর্ক ও উদ্বেগ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তার মধ্যেই আসন ফাঁকা পড়ে থাকার সমস্যা এড়াতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতামান কমিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:১৪
Share:

ঐতিহ্যবাহী প্রেসিডেন্সির মান পড়ে যাচ্ছে বলে বিতর্ক ও উদ্বেগ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তার মধ্যেই আসন ফাঁকা পড়ে থাকার সমস্যা এড়াতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতামান কমিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বৃহস্পতিবার জানান, বিষয়টি বিশদ ভাবে খতিয়ে দেখে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ণায়ক নম্বর ঠিক কতটা কমানো যায়, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আসন-জটের প্রেক্ষিতে তাঁর ইস্তফার যে-দাবি উঠেছে, এ দিন উপাচার্য তা উড়িয়ে দিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, পদত্যাগ তিনি করবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে যাঁরা নিয়োগ করেছেন, তাঁরাই সরিয়ে দিন।

প্রেসিডেন্সিতে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ণায়ক নম্বর বেশি বলেই পড়ুয়াদের অভিমত। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, প্রেসিডেন্সির মানের সঙ্গে তাঁরা কোনও মতেই আপস করতে চাননি। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে কর্তৃপক্ষকে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ণায়ক নম্বর কমানোর জন্য ভাবতে হচ্ছে।

Advertisement

চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রেসিডেন্সিতে প্রায় ৩০০ আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। আসন খালি থাকাটাই একমাত্র সমস্যা নয়। শিক্ষকদের প্রেসিডেন্সি ছেড়ে চলে যাওয়া, সংস্কারের নামে প্রেসিডেন্সির ঐতিহ্য ধ্বংস-সহ আরও বেশ কিছু সমস্যার সুরাহা চেয়ে প্রাক্তনী সংসদ শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে। পড়ুয়াদের একাংশ তাঁর পদত্যাগের দাবিতে পোস্টার সাঁটছেন। উপাচার্য এ দিন জানান, তাঁর বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তা প্রমাণ করে দেখানো হোক।

বুধবার বিকাশ ভবনে গিয়েও শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবুর দেখা পাননি উপাচার্য। উচ্চশিক্ষা সচিবের ঘরে প্রায় দু’ঘণ্টা বসে ছিলেন তিনি। পরে জানানো হয়, শিক্ষামন্ত্রী আগামী সপ্তাহে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। উপাচার্য অবশ্য জানান, ওই ঘটনায় তিনি অপমানিত বোধ করেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement