সেনা ছাউনি উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি

বারো বছর আগে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন বহরমপুরে যে সেনা ছাউনির অনুমোদন করেছিলেন তিনি, শনিবার তারই উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। জানালেন, ২০০৪ সালে লোকসভা ভোটে জিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে, বহরমপুরের কাছে নবগ্রামে ওই সেনা ছাউনি গড়ার প্রকল্প অনুমোদন করে ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৬ ০২:১৪
Share:

নবগ্রামে ‘বহরমপুর মিলিটারি স্টেশন’ উদ্বোধনে প্রণব মুখোপাধ্যায়। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

বারো বছর আগে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন বহরমপুরে যে সেনা ছাউনির অনুমোদন করেছিলেন তিনি, শনিবার তারই উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

জানালেন, ২০০৪ সালে লোকসভা ভোটে জিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে, বহরমপুরের কাছে নবগ্রামে ওই সেনা ছাউনি গড়ার প্রকল্প অনুমোদন করে ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘‘দেশ স্বাধীন হওয়ার একশো বছর আগে বহরমপুরে ক্যান্টনমেন্ট ছিল। ১৮৫৭ সালে সেখানে সিপাহি বিদ্রোহও হয়েছিল। ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে বহরমপুরের একটা ইতিহাস আছে।’’ তবে, নিছক ইতিহাসের কথা ভেবেই নয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময়ে স্থানীয় সাংসদ অধীর চৌধুরীর দাবি ছিল— রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণে দু’টি পূর্ণাঙ্গ সেনা ছাউনি বা ‘মিলিটারি বেস’ থাকলেও, মুর্শির্দাবাদের সীমান্ত এলাকায় সেনা ছাউনি গড়া জরুরি। সে দাবি মেনেই ওই সেনা ছাউনি গড়ার কাজে সরকারি সিলমোহর পড়েছিল।

এ দিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অধীরও ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। অধীর বলেন, ‘‘মিলিটারি ক্যান্টনমেন্ট গড়ার জন্য দরকার ছিল ৭৫০ একর জমি। কিন্তু তার বদলে পাওয়া গিয়েছে ২৫০ একর জমি। ফলে ক্যান্টনমেন্টের বদলে এখানে এখানে গড়া হল মিলিটারি স্টেশন।’’ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘৩২ মাস আগে আমি শিলান্যাস করেছিলাম। এত কম সময়ে বহরমপুর ক্যান্টনমেন্ট গড়ে উঠেবে, আশা করিনি। নবগ্রামের সাধারণ মানুষ ও সেনা অফিসারদের অভিনন্দন জানাই।’’ উদ্বোধন সেরে, রাষ্ট্রপতি কীর্ণীহার ফিরে যাওয়ার আগে, সিউড়িতে একটি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানে, কপ্টারে উঠতে যাওয়ার মুখে সেটি বিকল হয়ে যায়। প্রায় আধ ঘণ্টা অপেক্ষার পরে শেষ পর্যন্ত সড়ক পথেই ফিরে যান তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন