গোপন ব্যালট। ব্যালটের সেই ভোট গোপন এবং নিরাপদ রাখতেই নির্বাচন কমিশনের পাঠানো নির্দিষ্ট বেগুনি কলমেই এ বার ভোট দিতে হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে।
এতদিন রাষ্ট্রপতি ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট ভাবে কোনও কলম কখনও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পাঠায়নি। কিন্তু কখনও ব্যালট খুলে দেখা গিয়েছে, ভোট ভ্যানিশ! যে কালিতে ভোটার ভোট দিয়েছেন, তা সময়ের সঙ্গে উবে গিয়েছে!
ভোটদানের কালির যাতে কোনও রকমফের না হয়, সে জন্য সতর্ক থাকতেই এ বার তাই বেগুনি কলম বাধ্যতামূলক করেছে কমিশন। রাষ্ট্রপতি পদে দুই প্রার্থীর মধ্যে বর্ণানুক্রমিক ভাবে প্রথমে রয়েছে মীরা কুমারের নাম। দ্বিতীয় নাম রামনাথ কোবিন্দের। কমিশনের দেওয়া কালিতেই পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশে সংখ্যায় ১(যে কোনও স্বীকৃত ভাষায়) লিখতে হবে ভোটারদের। রাষ্ট্রপতি ভোটে ভোটার অবশ্য প্রত্যেক রাজ্যের বিধায়ক এবং সাংসদরা।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল, কংগ্রেস, বাম, বিজেপি এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিধায়করা বিধানসভাতেই ভোট দেবেন। তৃণমূলের সুগত বসু, দেব এবং কুঁওয়ার দীপ (কে ডি) সিংহের দিল্লিতে ভোট দেওয়ার কথা। তবে কৃষ্ণনগরের সাংসদ তাপস পাল ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর রাজ্যসভায় তৃণমূলের এক সাংসদ জামিনে মুক্ত হলেও ভোটের দিন নারকেলডাঙা থানার বাইরে বেরনোর অনুমতি পাননি। ফলে এই দুই সাংসদের ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই। বাকি তৃণমূল সাংসদরা অবশ্য কলকাতাতেই ভোট দেবেন বলে দলের খবর। কংগ্রেসের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ছাড়া বাকি সাংসদরা দিল্লিতেই ভোট দেবেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। এ রাজ্যের পাঁচ বাম সাংসদের দিল্লিতেই ভোট দেওয়ার কথা। এ ছাড়াও ত্রিপুরার স্পিকার এ বার কলকাতায় বিধানসভায় ভোট দেবেন বলে কমিশন সূত্রের খবর।
রাষ্ট্রপতি ভোটে কোনও রাজনৈতিক দল হুইপ জারি করতে পারে না। ভোটভাগের সাধারণ অঙ্কে রাষ্ট্রপতি পদের দুই প্রার্থীর মধ্যে এ রাজ্যে বিজেপির তিন জন এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তিন বিধায়কের ভোট রামনাথের পাওয়ার কথা। কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম সমর্থন করেছে মীরা কুমারকে।
ফলে প্রার্থী পছন্দ নিয়ে টানাপড়েন কার্যত নেই। তাই কৌতূহলও কম।