Mid Day Meal

Admission fee: ভর্তি বৃদ্ধির মূলে কি কল্যাণ প্রকল্প

‘প্রথম’ নামে ওই সংস্থার সমীক্ষার রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০১৮ সালে সরকারি স্কুলে ছয় থেকে চোদ্দো বছরের ৮৮.১ শতাংশ পড়ুয়া ভর্তি হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:২০
Share:

ফাইল চিত্র।

এক দিকে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষামানের অবনমন, অন্য দিকে স্কুলে ভর্তির হার বৃদ্ধি। বেসরকারি সংস্থার রিপোর্টের এই দু’টি বিপরীতমুখী বিষয়কে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, এর কারণ কী? শিক্ষা শিবির মনে করছে, ভর্তি বৃদ্ধির মূলে আছে মিড-ডে মিল, ট্যাব বিতরণ ইত্যাদির মতো পড়ুয়া কল্যাণ প্রকল্প।

Advertisement

করোনাকালে দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকায় প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক পর্যন্ত পড়াশোনার মান অনেকটাই নেমে গিয়েছে বলে ওই বেসরকারি সংস্থার ‘অ্যানুয়াল স্টেটাস অব এডুকেশন রিপোর্ট (এএসইআর)’-এ উঠে এসেছে। সেই রিপোর্ট দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সব স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে জোরালো সওয়ালও করেছেন। কিন্তু ওই সমীক্ষার রিপোর্টে এটাও উঠে এসেছে যে, করোনাকালে স্কুলে ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে।

‘প্রথম’ নামে ওই সংস্থার সমীক্ষার রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০১৮ সালে সরকারি স্কুলে ছয় থেকে চোদ্দো বছরের ৮৮.১ শতাংশ পড়ুয়া ভর্তি হয়েছিল। অন্য দিকে, ২০২১ সালে সরকারি স্কুলে ওই বয়সি পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে ৯১.৫ শতাংশ। শিক্ষাবিদ, শিক্ষক ও বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের একাংশের মতে, করোনার প্রকোপে যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ সব বন্ধ ছিল, তখনও কিন্তু স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য সরকারি প্রকল্প বন্ধ হয়নি। সেই সব পরিষেবা পেতে পড়ুয়ারা স্কুলে নাম লিখিয়ে রেখেছে। নতুন করে ভর্তিও হয়েছে প্রাক্‌-প্রাথমিকে। পূর্ব মেদিনীপুরের শিক্ষক তথা শিক্ষক-নেতা কিঙ্কর অধিকারী জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে যখন নভেম্বরে স্কুল খুলেছিল, তখন দেখা যায়, স্কুলের খাতায় নাম থাকলেও অনেক পড়ুয়া অনুপস্থিত। কিঙ্করবাবু বলেন, “খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাদশ শ্রেণির অনেক ছাত্র চাষের কাজ করতে চলে গিয়েছে। এমনি এক ছাত্রের বিয়েও হয়ে গিয়েছে। শুধু মিড-ডে মিলের সামগ্রী পেতে নাম লিখিয়ে রেখেছে স্কুলে।”

Advertisement

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের বক্তব্য, গত বার করোনার জেরে একাদশ শ্রেণির সব পডুয়াই দ্বাদশে উঠে গিয়েছিল। অনেকের ধারণা, এক বার দ্বাদশে উঠতে পারলেই ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। বীরভূমের শিক্ষিকা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, করোনাকালে কোনও স্কুলেই কিন্তু তালা পড়েনি। মিড-ডে মিলের সামগ্রী বিলি হয়েছে, ট্যাব দেওয়া হয়েছে। স্কলারশিপও পেয়েছে পড়ুয়ারা। করোনার প্রকোপে অনেকের উপার্জন কমে গিয়েছে। এই দুঃসময়ে মিড-ডে মিলের সামগ্রী তাঁদের কাছে জরুরি। মনীষাদেবী বলেন, “এখন পাড়ায় শিক্ষালয়ে প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে। দুপুরের খাবার পাচ্ছে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারাও। গরিব পড়ুয়ারা দুপুরের খাবার স্কুলেই পেয়ে যাচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন