জোট নিয়ে জটিলতার জেরে বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদ নিয়ে শুরু হল নতুন করে টানাপড়েন।
প্রধান বিরোধী দলই সচরাচর বিধানসভায় পিএসি-র দায়িত্ব পায়। সেই যুক্তিতে কংগ্রেসের ওই কমিটির চেয়ারম্যানের পদ পাওয়ার কথা। কিন্তু জোটে ভাগাভাগির নীতি মেনে অধীর চৌধুরী, আব্দুল মান্নানেরা চেয়ারম্যানের পদ বামেদের ছেড়ে দিতে চাইছিলেন। তার জন্য এআইসিসি-র সবুজ সঙ্কেত নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন তাঁরা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি দিল্লিতে তিন দিন ধরে বৈঠক করে বাংলায় জোটের বিরুদ্ধে ফরমান দেওয়ায় এই প্রক্রিয়ায় আবার টানাপড়েনের মেঘ জমেছে!
কংগ্রেস সূত্রে খবর, কারাটদের সাম্প্রতিক ভূমিকায় এআইসিসি প্রীত নয়। এই সময় আগ বাড়িয়ে তাঁরা পিএসি-র শীর্ষ পদ বামেদের তথা সিপিএমকে ছাড়ার পক্ষপাতী নন। দলের হাইকম্যান্ডের এই মনোভাব জানার পরেই কংগ্রেস পরিষদীয় দলের তরফে পিএসি-র চেয়ারম্যান পদের জন্য ৪ জন বর্ষীয়ান নেতা-বিধায়কের নাম স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। রীতি মেনে চেয়ারম্যান হিসেবে এক জনকে বাছবেন স্পিকার। কংগ্রেসের সূত্রের অবশ্য ইঙ্গিত, পরিষদীয় দল ওই দায়িত্বের জন্য প্রাক্তন আইএএস সুখবিলাস বর্মাকেই প্রথম পছন্দ মনে করছে।
প্রদেশ কংগ্রেস পিএসি-র বিষয়টি নিয়ে ফের এক দফা আলোচনা সেরেছে। দলের এক বিধায়কের কথায়, ‘‘কারাটদের দেখে মনে হচ্ছে, জোটটা করে অন্যায় হয়েছে! এমনিতেই মনমোহন সিংহের সরকারের উপর থেকে কারাটদের সমর্থন প্রত্যাহার নিয়ে ক্ষত আছে। এখন আবার ওঁদের এমন মনোভাবে এআইসিসি রুষ্ট হয়েছে।’’ তবে প্রদেশ নেতৃত্ব এখনও চান বামেদেরই পদটা ছেড়ে দেওয়ার রাস্তা খোলা রাখতে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বামেরাও পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে দু’জনের মনোনয়ন জমা দিয়েছে। ইয়েচুরিকেও দল অনুরোধ করেছে এআইসিসি নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে বরফ গলানোর চেষ্টা করতে। সিপিএমের এক বিধায়কের বক্তব্য, ‘‘আলোচনার দরজা বন্ধ হয়নি। পদ যে দলই পাক, পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত করার চেষ্টা হবে।’’