প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু পূর্বে

বিদ্যালয় সংসদ সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ৩,২৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কিছু স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরেই স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৪৮
Share:

পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ৩,২৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।

দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পরে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হল পূর্ব মেদিনীপুরে। মোট দেড় হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। এর মধ্যেই ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত ভাবে হয়, সে জন্য দাবি করতে শুরু করেছে জেলার বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলি।

Advertisement

বিদ্যালয় সংসদ সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ৩,২৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কিছু স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরেই স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই। মূলত অবসর গ্রহণ এবং অন্য স্কুলে বদলি হওয়ার জন্যই প্রধান শিক্ষকের ওই পদগুলি খালি হয়েছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১,৬০০টি। এই বিপুল সংখ্যক ফাঁকা পদে একজন সহকারী শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে অস্থায়ীভাবে দ্বায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা প্রধান শিক্ষক হিসাবে আর্থিক সুবিধা পান না।

এই পরিস্থিতিতে ওই সব স্কুলগুলিতে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করার দাবি জানিয়ে একাধিকবার স্মারকলিপি দিয়েছিল শিক্ষক সংগঠনগুলি। সম্প্রতি রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর এ নিয়ে অনুমোদন দেওয়ার পরেই গত ৩০ জানুয়ারি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে। উল্লেখ্য, জেলায় সর্বশেষ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল ২০১৪ সালে।

Advertisement

এই ঘোষণার পরেই বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যাতে কোনও অনিয়ম না ঘটে। এবং শিক্ষকদের নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিক বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের তালিকা তৈরিতে স্বচ্ছতা রাখতে হবে এবং সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে।’’ তাঁদের দাবি, ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সময় তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক সতীশ সাহু বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাড়ির কাছাকাছি বিদ্যালয়ে নিয়োগ করতে হবে। এছাড়া, বর্তমানে যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণরত, তাঁদেরও প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।’’

গোটা ব্যাপারে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি মানস দাস বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য সার্কেল অফিসে আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে। আবেদনকারীর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়োগ তালিকা করা হবে। দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ওই তালিকা পাঠানো হবে। তা অনুমোদনের পরে নিয়োগ করা হবে। প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নিয়মকানুন জানাতে শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন