সচিনকে ফোন, অবাক হচ্ছেন না বিশেষজ্ঞ

সচিন তেন্ডুলকরের জামাই হতে চেয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন মহিষাদলের যুবক দেবকুমার মাইতি। কিন্তু এই ঘটনায় একটুও অবাক নন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এস পি মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:০০
Share:

সচিন তেন্ডুলকরের জামাই হতে চেয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন মহিষাদলের যুবক দেবকুমার মাইতি। কিন্তু এই ঘটনায় একটুও অবাক নন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এস পি মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “যে কোনও মনোরোগীর পক্ষেই এমন ঘটনা ঘটানো সম্ভব। তাঁরা বুঝতে পারেন না কী করছেন, কেন করছেন। যা মনের মধ্যে ঢুকে যায়, তাই করেন।” এই বিশেষজ্ঞের কাছেই দেবকুমারের চিকিত্সা চলছিল বলে দাবি করেছেন তাঁর পরিজনেরা। এ প্রসঙ্গে ওই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, “আমার কাছে অনেকে আসেন। রোজই কত রোগী দেখি। ওই যুবকের কথা ঠিক মনে পড়ছে না। তবে ওই ঘটনার কথা জানি। খবরের কাগজে পড়েছি। মনোরোগী ছাড়া কারও পক্ষে এমন ঘটনা ঘটানো অসম্ভব।”

Advertisement

শনিবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থানার নাটশোলের আন্দুলিয়া থেকে দেবকুমার মাইতি নামে বছর বত্রিশের ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশের বিশেষ দল। ধৃতকে হলদিয়া আদালতে হাজির করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে মুম্বই গিয়েছে তারা। সোমবার বান্দ্রা আদালতে দেবকুমারকে তুলেছিল মুম্বই পুলিশ। চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। দেবকুমারের পরিবারের কেউই মুম্বইয়ে যাননি। তবে সেখানেও যাতে দেবকুমারের চিকিৎসা হয়, মুম্বই পুলিশের কাছে সেই আর্জি জানিয়েছেন ধৃতের দাদা রাজকুমার মাইতি। সোমবার তিনি জানান, ভাইয়ের চিকিৎসার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

দেবকুমারের পরিজনেদের দাবি, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর চিকিত্সাও চলছে। পুলিশকে তার কাগজপত্রও দিয়েছেন পরিজনেরা। রাজকুমার বলেন, “গত আট বছর ধরে ভাইয়ের মানসিক রোগের চিকিত্সা চলছে। এখন মেদিনীপুরে এস পি মুখোপাধ্যায়ের কাছে চিকিত্সা চলছিল। গত মাসেও ওঁকে দেখানো হয়েছিল।” মেদিনীপুরের অন্য এক চিকিত্সকের মতে, “সচিন তেন্ডুলকর কে, তাঁকে ফোন করে বারবার বিরক্ত করলে কী হতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা ছিল না যুবকের। আসলে মনোরোগীদের আচার-আচরণ, অনুভূতিতে বদল চলে আসে। যুবকের ক্ষেত্রেও হয়তো তাই হয়েছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement