নানা প্রভাতকুমারকে চেনাল আলোচনা

জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে একটি প্রদর্শনীও হয়। নানা ছবি, পুরস্কারের প্রতিলিপি দিয়ে তা সাজানো ছিল। ছিল আনন্দ পুরস্কার, দেশিকোত্তম-সহ নানা পুরস্কারের প্রতিলিপি। পৌত্রবধূ অরুণা মুখোপাধ্যায় প্রভাতকুমারের রসবোধ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৭ ০৯:১০
Share:

জন্মজয়ন্তী: ঘুরে দেখা হচ্ছে প্রদর্শনী। নিজস্ব চিত্র

রবীন্দ্রজীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী পালিত হল বিশ্বভারতীতে। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কনফারেন্স হলে বিশ্বভারতী লাইব্রেরি নেটওয়ার্কের উদ্যোগে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ছিলেন উপাচার্য স্বপনকুমার দত্ত, কর্মসচিব অমিতকুমার হাজরা, গ্রন্থাগারিক নির্মাল্য বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন অধ্যাপক সুনীতিকুমার পাঠক। ছিলেন প্রভাতকুমারের পৌত্র ও পৌত্রবধূ সুমন্তকুমার মুখোপাধ্যায় ও অরুণা মুখোপাধ্যায়রা।

Advertisement

সঙ্গীতভবনের গবেষক সঞ্চিতা মান্না ‘চোখের আলোয় দেখেছিলেম...’ এই গান দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। তিনটি পর্বে বিভক্ত ছিল অনুষ্ঠানটি। উদ্বোধনী বক্তব্যে নির্মাল্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রভাতকুমার রবীন্দ্রজীবনীকার হিসেবেই সর্বত্র পরিচিত। শান্তিনিকেতনের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি ব্যক্তির প্রভাতকুমার সম্পর্কে জানা দরকার।’’ উপাচার্য স্বপনকুমার দত্ত বলেন, ‘‘মাত্র ১৭ বছর বয়সে শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন প্রভাতকুমার। আসার ছ’মাসের মধ্যেই শান্তিনিকেতনে যোগ দেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে মতান্তর হলেও মনান্তর কখনও হয়নি।’’ প্রাক্তন অধ্যাপক সুনীতিকুমার পাঠক বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে ওঁনার সান্নিধ্যে এসেছিলাম। রবীন্দ্রজীবনীতে শুধু সাল-তারিখের কথা তিনি বলেননি। তার থেকে অনেক বেশি দিয়েছেন।’’ বিশ্বভারতীর কর্মসচিব অমিতবাবু বলেন, ‘‘১৯৩৪-৩৫ সালে ইন্দিরা গাঁধী যখন শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন, তখন প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ই তাঁকে বাংলা শেখান।’’ প্রভাতকুমারের পৌত্র সুমন্তকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এক সময় তিনি ছোটদের জন্যেও লিখেছেন। সন্দেশ পত্রিকায় ছোটদের জন্য তাঁর লেখা ‘ছানিকাটা’, ‘নামে গোল’ প্রকাশিত হয়েছে। ‘একে রুনুঝুনু, দু’ইয়ে পাঠ’ নামে একটি উপন্যাস লিখতেও শুরু করেছিলেন। যদিও তা শেষ করে যেতে পারেননি। দুপুরে বিশ্রাম ছিল তাঁর কাছে অপরাধ।’’

জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে একটি প্রদর্শনীও হয়। নানা ছবি, পুরস্কারের প্রতিলিপি দিয়ে তা সাজানো ছিল। ছিল আনন্দ পুরস্কার, দেশিকোত্তম-সহ নানা পুরস্কারের প্রতিলিপি। পৌত্রবধূ অরুণা মুখোপাধ্যায় প্রভাতকুমারের রসবোধ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তাঁর কথায়, ‘‘উত্তমকুমারের সঙ্গে একটি ছবি দেখিয়ে উত্তমকে বলেছিলেন তুমি উত্তম, আমি দেশিকোত্তম।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন