National School Football

জাতীয় স্কুল ফুটবলে জেলার ২ পড়ুয়া

রামপুরহাটের প্রত্যন্ত গ্রাম বনরামপুরের বাসিন্দা কার্তিক। তারা দু'ভাই ও এক বোন। কার্তিক বড়। বাবা অল্প কিছু জমিতে চাষ করে সংসার চালান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৩
Share:

জাতীয় স্কুল ফুটবলে বাংলা দলে সুযোগ পেয়েছে পলাশ দফাদার ও কার্তিক হেমব্রম। —নিজস্ব চিত্র।

জাতীয় স্কুল ফুটবলে বাংলা দলে সুযোগ পেল বীরভূমের দুই প্রতিভাবান ফুটবলার। বোলপুরের বাঁধগোড়া কালীকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া কার্তিক হেমব্রম এবং লাভপুরের বিপ্রটিকুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া পলাশ দফাদার এ বার অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় স্কুল ফুটবলে বাংলার হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছে। তাদের এই সাফল্যে খুশি পরিবারের লোকজন। আজ, বুধবার জাতীয় পর্যায়ের খেলায় যোগ দিতে এই দু’জন আন্দামান যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বীরভূম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সুবীর দাস।

Advertisement

রামপুরহাটের প্রত্যন্ত গ্রাম বনরামপুরের বাসিন্দা কার্তিক। তারা দু'ভাই ও এক বোন। কার্তিক বড়। বাবা অল্প কিছু জমিতে চাষ করে সংসার চালান। পড়াশোনার সূত্রে গত পাঁচ বছর ধরে কার্তিক থাকে বোলপুর বাঁধগোড়া কালীকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের হস্টেলে। বর্তমানে সে নবম শ্রেণির ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবলে যথেষ্ট দক্ষ সে। কার্তিক জানিয়েছে, গ্রামের মাঠ থেকেই প্রথম ফুটবল খেলা শুরু তার। এর পরে আন্তঃজেলা ফুটবল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফুটবল প্রতিযোগিতায় নজর কাড়ে সে।

সেখান থেকে আজ কার্তিক জাতীয় স্কুল ফুটবলে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছে। কার্তিক বলে, “৭-৮ বছর ধরে ফুটবল খেলছি। অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল, বড় কোনও জায়গায় খেলার। সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার ভাল লাগছে।” কার্তিকের মা বাহামনি হেমব্রম বলেন, “ছেলে এই সুযোগ পাওয়ায় আমরা খুব খুশি। আমি চাই ও অনেক বড় হোক।”

Advertisement

বিপ্রটিকুরী গ্রামের বাসিন্দা পলাশ দফাদারও নবম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। কার্তিকের মতো পলাশও গ্রামের মাঠে খেলা শুরু করে নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে। পলাশের কথায়, “ফুটবল খেলার জন্য এক সময় নানা কথা শুনতে হয়েছে। অনেকেই বলেছিল ফুটবল খেলে কি হবে, কিন্তু আজ বাংলা দলের হয়ে সুযোগ পেয়ে সত্যি ভাল লাগছে।’’

তার বাবা পরেশ দফাদার বলেন, “অনেক কষ্ট করে ছেলেকে বড় করেছি। আমি চাই ও বাংলার মুুখ উজ্জ্বল করুক।” ”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন