আইএনটিটিইউসির ব্লক সভাপতি-সহ তৃণমূলের তিন নেতা কর্মীকে বহিষ্কার করার কথা জানিয়ে লিফলেট বিলি হল বান্দোয়ানে। শনিবার তৃণমূলের বান্দোয়ান ব্লক সভাপতি রঘুনাথ মাঝির নামে বান্দোয়ান বাজার এলাকায় ওই লিফলেট বিলি করা হয়। রঘুনাথবাবু এ দিন বলেন, ‘‘আমরা দলের শুদ্ধিকরণের কাজ শুরু করলাম।’’
লিফলেটে জানানো হয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় বান্দোয়ানের মথন দাস, বড়কড়মোর বিশ্বম্ভর দাস মোহন্ত এবং কুইলাপালের উত্তমকুমার সিংহ ওরফে কানুকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, বান্দোয়ান ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে।
বিলি হওয়া লিফলেট ঘিরে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মথনবাবু তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি। বিশ্বম্ভরবাবু কুইলাপাল অঞ্চলের প্রাক্তন সভাপতি। কানু সিংহ সংগঠনের কোনও পদে না থাকলেও এলাকায় দাপুটে কর্মী হিসাবে পরিচিত। তৃণমূল সূত্রের খবর, মথনবাবুর বিরুদ্ধে এলাকায় তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। তা ছাড়া বামেদের সঙ্গে তাঁর ঘণিষ্ঠতাও এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব ভাল ভাবে নেননি। বিশ্বম্ভরবাবুর বিরুদ্ধেও অভিযোগ বামেদের সঙ্গে ঘণিষ্ঠতার। অন্যদিকে কুইলাপাল পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান বিরোধীদের সঙ্গে অনাস্থা এনে শুক্রবার প্রধানকে পদ থেতে সরিয়েছেন। সেই ঘটনায় কানু সিংহের হাত রয়েছে বলে এলাকার নেতাদের সন্দেহ। সূত্রের দাবি, তারই জেরে এ বার দল থেকে সরানো হল কানু সিংহকে। কুইলাপাল পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান নির্মল সোরেনের বিরুদ্ধেও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর।
তবে মথনবাবু এ দিন দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে বহিষ্কার করার অধিকার ব্লক নেতৃত্বের নেই। আমি জেলা ও রাজ্যস্তরের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমি এখনও শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি পদে রয়েছি।’’
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রঘুনাথ মাঝি বলেন, ‘‘ওদের সংশোধনের অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবু নিজেদের শোধরাননি। কোর কমিটি তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।’’