Busineman win Lottery

এক দিনেই কোটিপতি, থানায় আশ্রয় ব্যবসায়ীর

ঘুরে ঘুরে লটারির টিকিট বিক্রি করেন এমন এক জন টিকিট বিক্রেতার কাছে মাঝে মধ্যেই টিকিট কাটেন তিনি। এ দিন সকালেও দোকান খোলার পর ৬০ টাকার টিকিট কেটেছিলেন অরুণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৮
Share:

অরুণ গড়াই। নিজস্ব চিত্র ।

সোমবার সকাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ছোট্ট একটি চা-মিষ্টির দোকান মালিক। দুপুরের পরেই তিনি কোটিপতি। এ ভাবেই বদলে গিয়েছে দুবরাজপুর পুর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অরুণ গড়াইয়ের জীবন। সৌজন্যে লটারি। নিরাপত্তার চেয়ে তার পরেই অরুণ আশ্রয় নিয়েছেন দুবরাজপুর থানায়। তাঁকে নিরাপত্তার আশ্বস্ত দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

জানা গিয়েছে, দুবরাজপুর আদালতের উল্টো দিকে বাস স্ট্যান্ড ঘেঁষে রয়েছে অরুণের ছোট্ট একটা চা-মিষ্টির দোকান। দিনে চার থেকে পাঁচশো টাকা আয় হয় ওই দোকান থেকে। তার উপরে নির্ভর করেই চলে মধ্য পঞ্চাশের অরুণের সংসার। তবে খুব স্বচ্ছল সংসার তা বলা যাবে না। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বাড়িতে এখন কলেজ পড়ুয়া ছোট মেয়ে, স্ত্রী, বৃদ্ধ বাবা-মা— সব মিলিয়ে পাঁচ জনের সংসার। তবে এ দিনের পরে সেই পরিস্থিতি আমূল বদলাবে, আশাবাদী ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবার।

জানা গিয়েছে, ঘুরে ঘুরে লটারির টিকিট বিক্রি করেন এমন এক জন টিকিট বিক্রেতার কাছে মাঝে মধ্যেই টিকিট কাটেন তিনি। এ দিন সকালেও দোকান খোলার পর ৬০ টাকার টিকিট কেটেছিলেন অরুণ। সোয়া একটার সময় ওই টিকিট বিক্রেতা তাঁকে কোটিপতি হওয়ার খবরটা দেন।

Advertisement

অরুণ বলেন, ‘‘খবরটা শুনে কাঁপছিলাম। আনন্দের সঙ্গে আতঙ্কও ছিল। যতক্ষণ না টিকিট ব্যাঙ্কে পৌঁছচ্ছে বলা তো যায় না। কাউন্সিলরকে ফোন করলাম। বন্ধুদের ফোন করলাম। সকলে আমায় থানায় আসতে বললেন। তাই এখানে আশ্রয় নিয়েছি।’’

এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অরুণের বাড়ি থাকলেও সেটার অবস্থা ভাল নয়। সংস্কার প্রয়োজন। ছোট মেয়ের ভবিষ্যত, ব্যবসাকে উন্নত করা, বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখাশোনা— সব নিয়েই চিন্তা ছিলেন অরুণ। এই অবস্থায় কোটি টাকা পাওয়ায় কার্যত বাকরুদ্ধ পরিবার। স্ত্রী মাধুরী গড়াই বলেন, ‘‘এত টাকা এক সঙ্গে কোনও দিন দেখিনি। দিন বদলাবে এ বার। প্রথমেই বাড়িটা সংস্কার করাতে চাই। তার পরে ধাপে ধাপে সব হবে।’’

ওই ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি ভাস্কর রুজ বলেন, ‘‘ওই ব্যবসায়ী কোটি টাকা জেতায় আমরা খুশি। টাকার প্রয়োজন রয়েছে ওঁদের। কারণ, ওই ব্যবসায়ীর শরীরও বিশেষ ভাল নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন