হেফাজতে: নাবালক। —নিজস্ব চিত্র
গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নাবালক। শুক্রবার সিউড়ির তাপাইপুর গণধর্ষণ-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পর এ কথা জানায় পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত কাল সিউড়ি থানায় বছর বাইশের এক আদিবাসী বধূ অভিযোগ জানান, সাঁইথিয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে পরিজন, পড়শিদের সঙ্গে ট্রাক্টরে চেপে শুক্রবার তাপাইপুরে যাত্রা ও মেলা দেখতে এসেছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ তাঁকে বাইরে ডেকে নিয়ে যায় দু’জন পরিচিত। অভিযোগ, তখনই জনাদশেক যুবক তাঁকে চোখমুখ বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। চোখ বাঁধার আগে আধা-অন্ধকারে তিনি এক জনকে চিনতে পেরেছিলেন।
গত কাল রাতেই সাঁইথিয়ার কুলতোড় গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তার পরই জানা যায় ধৃতের বয়স ১৬। বুধবার তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে হাজির করানো হয়। জামিন না-মঞ্জুর করে অভিযুক্তকে বহরমপুর হোমে পাঠান প্রিন্সিপ্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট অলিভা রায়।
বোর্ডের সরকারি আইনজীবী বিকাশ পৈতণ্ডী জানান, ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছে। আগামী ৩ জানুয়ারি ধৃতকে ফের হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর ভাসুর যাত্রার আসর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে দেখেন, নির্জন মাঠে বসে কাঁদছেন তিনি। প্রথমে শ্বশুরবাড়ির কাউকে সে কথা বলতে চাননি তিনি। মহম্মদবাজারে বাপের বাড়ির লোকেদের জানানোর পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। নির্যাতিতা সিউড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ দিকে, মূল অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় তদন্তে সমস্যা বাড়তে পারে পুলিশের। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ পাবেন না তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যাতিতা তাঁর অভিযোগে দুই সঙ্গীর কথা উল্লেখ করেছেন। যাদের ডাকে তিনি যাত্রার আসর থেকে বাইরে এসেছিলেন। নির্যাতিতার সন্দেহ, ওই ঘটনায় দু’জনের যোগসাজস থাকতে পারে। খোঁজ চলছে অন্য অভিযুক্তদের।