Tapan Kandu Road Name

তপন কান্দুর স্মৃতিতে রাস্তা

২০২২ সালে পুর-বোর্ড গঠনের মুখে ১৩ মার্চ ঝালদা শহর লাগোয়া গোকুলনগরের কাছে আততায়ীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন তপন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ০৭:৩৯
Share:

রাস্তার ফলকের সামনে পূর্ণিমা কান্দু। ছবি: দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় |

আততায়ীদের গুলিতে নিহত ঝালদার কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি তপন কান্দুর নামে রাস্তার নামকরণ হল ঝালদা শহরে। বুধবার, তপনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর দিন বিকেলে শহরের আনন্দবাজারের স্টেশন রোডটিকে ‘তপন কান্দু সরণি’ নামকরণ করল পুরসভা। রাস্তার ফলকের আবরণ উন্মোচন করেন তপনের সহধর্মিনী তথা স্থানীয় কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি পূর্ণিমা কান্দু।

Advertisement

ছিলেন তৃণমূলের পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল, উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার, কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি বিপ্লব কয়াল প্রমুখ।

২০২২ সালে পুর-বোর্ড গঠনের মুখে ১৩ মার্চ ঝালদা শহর লাগোয়া গোকুলনগরের কাছে আততায়ীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন তপন। তাঁর পরিবার খুনের নেপথ্যে তৃণমূল ও পুলিশের একাংশ্য রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তে নামে। গ্রেফতার হন তপনের দাদা নরেন কান্দু, তাঁর ছেলে দীপক কান্দু-সহ সাত জন। পরে বিচারাধীন অবস্থায় এক জনের মৃত্যু হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত তৃণমূল বা পুলিশের কেউ জড়িত কি না, তা প্রকাশ্যে আসেনি। তৃণমূলও অভিযোগ অস্বীকার করে বরাবর তদন্তের দাবি জানায়। ঘটনাচক্রে তারপরেই পুরপ্রধান হন সুরেশ। গত দু’বছরে পুরসভার ক্ষমতা দখলকে ঘিরে নানা ঘটনার পরে কংগ্রেসের সমর্থনে ফের পুরপ্রধান হয়েছেন সুরেশ। তারপরেই তপনকে শ্রদ্ধা জানাতে পুরসভার এই উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূণ বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও এ দিন সুরেশের দাবি, ‘‘এর মধ্যে অন্য কিছু খোঁজা অনর্থক। জনদরদী তপনকে স্মরণীয় করে রাখতেই স্টেশনে যাওয়ার রাস্তা তাঁর নামেই করা হল। বোর্ড অব কাউন্সিলের সভায় আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ ঘটনা হল, ওই রাস্তার পাশেই তপনের বাড়ি।

Advertisement

জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘পুরসভার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’’ তিনি পুরসভা চত্বরে আয়োজিত রক্তদান শিবির ঘুরে যান।’’ তপনের স্মৃতিতে সকালে একটি সংস্থা ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।

নিহত নেতার পড়শি হরিপদ কান্দু বলেন, ‘‘তপনের স্মৃতি এখনও টাটকা। এই রাস্তা তাঁকে আরও বেশি করে মনে করাবে।’’ পূর্ণিমা বলেন, ‘‘ওই ঘটনার এতদিন পরেও এলাকাবাসী আমার স্বামীকে এ ভাবে মনে রেখেছেন দেখে বুকটা গর্বে ভরে ওঠে।’’ তিনি জানান, বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে। একদিন সুবিচার মিলবেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন