ময়ূরেশ্বরের স্কুলে তালা, ক্ষোভ

পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল স্কুলে! শিকেয় উঠল পঠনপাঠন। ওই ঘটনায় গ্রামবাসীর একাংশ ক্ষুব্ধ।শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়ূরেশ্বরের সনকপুর হাজরাপাড়া প্রাথমিক স্কুলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২০
Share:

পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল স্কুলে! শিকেয় উঠল পঠনপাঠন। ওই ঘটনায় গ্রামবাসীর একাংশ ক্ষুব্ধ।

Advertisement

শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়ূরেশ্বরের সনকপুর হাজরাপাড়া প্রাথমিক স্কুলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে প্রতিটি স্কুলে ঝাঁট দেওয়ার জন্য এলাকার দু’জন করে জবকার্ডধারী নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে ওই সব জবকার্ডধারীদের নিয়োগ করেন প্রধান।

সেই মতো ওই স্কুলের জন্যও ১৭ এপ্রিল দু’জন জবকারী নিয়োগ করে বড়তুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। কিন্তু তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত বেছে বেছে দলীয় সমর্থকদের নিয়োগ করেছে, এই অভিযোগে স্থানীয়দের একাংশ শুক্রবার সকালে স্কুলের অফিস ঘরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ছুটির কিছুটা আগে পুলিশের হস্তক্ষেপে তালা খোলে।

Advertisement

ওই ঘটনায় এ দিনের পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীর একাংশ চরম ক্ষুব্ধ। তাঁরা জানান, পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে স্কুলে এ ভাবে তালা ঝুলিয়ে দেওয়াটা ঠিক হয়নি। এক অভিভাবকের কথায়, ‘‘পঞ্চায়েতে ক্ষোভ জানানো যেতে পারত। না তা করে এই গরমে স্কুলে
বিক্ষোভ! বাচ্চাগুলো কষ্ট করে স্কুলে গেল, আর শুধু শুধু ফিরে এল।’’

প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ রায় জানান, ঝাড়ুদার নিয়োগে তাঁদের কোনও হাত নেই। তাঁর কথায়, ‘‘এরপরেও গ্রামবাসীর একাংশ আমাদের তালাবন্দী করে দেয়। তার ফলে মিড-ডে মিল খাওয়ানো যায়নি। পঠনপাঠনও হয়নি।’’ সমস্যার কথা প্রধানকে জানিয়েছেন তিনি।

বিক্ষোভকারীদের অন্যতম প্রকাশ মণ্ডল, করুণা লেট, মিহির মণ্ডলরা জানান, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে নিয়ে গ্রাম বৈঠকের মাধ্যমে দু’জন দুঃস্থ জবকার্ডধারীকে নির্বাচন করে তার রেজলিউশন পঞ্চায়েতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু পঞ্চায়েত তা অগ্রাহ্য করে দলীয় সমর্থকদের নিয়োগ করেছে। তাই বাধ্য হয়ে ওই স্কুলে তালা দিয়েছি। পঞ্চায়তে সদস্য রিঙ্কু বায়েন অবশ্য জানিয়েছেন, গ্রামবাসীর তরফে কোনও রেজলিউশনে তিনি সই করেননি। প্রধান তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই ওই দুই জবকার্ডধারীকে নিয়োগ করেছেন।

প্রধান নাসিমউদ্দিন শেখ জানান, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে বিক্ষোভকারীরাই তাঁদের পছন্দের লোককে ঢোকাতে চেয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ‘‘সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে যোগ্যদেরই নিয়োগ করা হয়েছে।’’

ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের বিডিও সুশান্তকুমার বসু জানান, নিয়মানুযায়ী প্রতিটি স্কুলের ক্ষেত্রে দু’জন জবকার্ডধারীকে পঞ্চায়েতেরই নিয়োগ করার কথা। ওই স্কুলের ক্ষেত্রে কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন