প্রকাশ: তথ্যচিত্রের সিডি হাতে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। নিজস্ব চিত্র
মা ও শিশুর মৃত্যুর হার কমাতে ‘ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি’ বা হাসপাতালে প্রসব জরুরি। সে বিষয়ে উৎসাহ দিতে তথ্যচিত্র সংবলিত ডিভিডি-র প্রকাশ হল জেলায়।
বুধবার সকালে সিউড়িতে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স হল থেকে তথ্যচিত্রটি প্রকাশ করেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। ছিলেন সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি প্রমুখ। একই সঙ্গে প্রশাসনের দাবি, গত পাঁচ বছরে জেলায় হাসপাতালে প্রসবের হার ৭৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৩ শতাংশ। এখানে না থেমে প্রশাসনের লক্ষ্য ১০০ শতাংশে পৌঁছনো।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাশাসকের ইচ্ছেয় এবং অর্থ সাহায্যে এপ্রিলে ইলামবাজারে ৩০ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটির শ্যুটিং হয়েছিল। যে গল্পটির উপর ভিত্তি করে তথ্যচিত্র, তা লিখেছেন ইলামবাজার ব্লকের পিএইচএন (পাবলিক হেল্থ নার্সিং অফিসার) জল্পনা সরকার। অভিনয় করছেন ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরাই। মোট চরিত্রের সংখ্যা ১৪। এ দিন উপস্থিত ছিলেন তাঁদের সকলেই।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে শিশুর জন্ম দিলে প্রসবকালীন জটিলতায় মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিপন্ন হতে পারে শিশুর জীবন। তা সত্বেও জেলার কিছু অংশ থেকে এখনও অন্তঃসত্ত্বারা প্রসবের সময় হাসপাতালে পৌঁছন না। সেই তালিকায় ইলামবাজার, মহম্মদবাজার, মুরারই এবং দুবরাজপুরের মোট ২০টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্তর্গত এলাকা রয়েছে।
জেলাশাসক বলছেন, ‘‘বাড়িতে প্রসব নয়। অন্তঃসত্ত্বাদের সরকারি হাসপাতালে পাঠাতেই এই ভাবনা। যে যে এলাকায় বাড়িতে প্রসবের হার বেশি সেখানেই সচেতনতামূলক তথ্যচিত্রটি দেখানো হবে।’’
তথ্যচিত্র প্রকাশের পাশাপাশি পনেরো দিন ব্যাপী ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির জন্য তৈরি দুটি ট্যাবলো উদ্বোধন করেন জেলাশাসক ও সভাধিপতি। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি জানাচ্ছেন, বর্ষার আগে এবং বর্ষার সময় ডায়েরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। কী ধরনের সতর্কতা নিলে ডায়েরিয়া থেকে বাঁচা যায়, তা নিয়ে প্রতিটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র স্তর পর্যন্ত আগামী ২৪ তারিখ পর্যন্ত নানা কর্মসূচি চলছে। ট্যাবলোগুলিও নানা প্রান্ত ঘুরে সচেতনতা প্রচার করবে।