Storytelling Competition

দেশের ঐক্যের গল্প শুনিয়ে আন্তর্জাতিক খেতাব ছাত্রীর

সিঙ্গাপুরের এই সংস্থাটি একটি গল্প-কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান। তারা বিশ্বাস করে যে গল্প জীবন পাল্টে দিতে পারে। ২০২১ সাল থেকে ওই সংস্থা বিশ্বব্যাপী গল্প বলার প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে।

Advertisement

প্রশান্ত পাল 

পাড়া শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:০৮
Share:

আনুষী নিগার। নিজস্ব চিত্র

আন্তর্জাতিক গল্প বলার প্রতিযোগিতায় নিজের দেশের কথা তুলে ধরে পুরস্কার জিতল পাড়া ব্লকের বরণডাঙার একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্রী আনুষী নিগার। সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থার উদ্যোগে ২০২২ সালের গল্প বলার এই প্রতিযোগিতায় সিনিয়র ২ বিভাগে ফার্স্ট রানার আপের সম্মান ছিনিয়ে নিয়েছে সে। দশম শ্রেণির পরীক্ষার্থী আনুষী জানিয়েছে, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, বহুত্ব ও ভিন্নতার মধ্যে ভারতের যে একতার ছবি তার কিশোরী মনে ধরা পড়েছে, সেই উপলব্ধির কথাই সে বলেছে তার গল্পে।

Advertisement

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গাপুরের এই সংস্থাটি একটি গল্প-কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান। তারা বিশ্বাস করে যে গল্প জীবন পাল্টে দিতে পারে। ২০২১ সাল থেকে ওই সংস্থা বিশ্বব্যাপী গল্প বলার প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। প্রথম বছর বিশ্বের শতাধিক দেশের কয়েক হাজার প্রতিযোগী যোগ দেয়। ২০২২ সালে ১৩৭টি দেশের ৫৮,৮০০ প্রতিযোগী যোগ দেয়।

স্কুলের শিক্ষিকা প্রিয়াঙ্কা ঘোষ বলেন, ‘‘চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বিচারকেরা ৭১ জনকে নির্বাচিত করেন। তার মধ্যে আমাদের স্কুলের জুনিয়র ও সিনিয়র বিভাগে মোট ছ’জন ছাত্রী ছিল। ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রতিযোগিতা হয়। আনুষীর বিষয় ছিল, সংস্কৃতি। তা নিয়েই সে গল্পধর্মী কবিতা লিখেছিল। ওঁকে আগের দিন লিখে পরের দিন বলতে বলা হয়েছিল। দেশের ঐক্যের কথা, সে নিজে একজন ভারতীয় ও বাঙালি সেই বিষয়গুলি আনুষী নিজের গল্পে তুলে ধরেছিল।’’

Advertisement

আনুষীর বাবা মহম্মদ রাজিউদ্দিন ও মা নিগার সুলতানা স্থানীয় একটি মাদ্রাসার কর্মী। আনুষীর কথায়, ‘‘আমাদের দেশের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ও সংস্কৃতির কথা আমার গল্পে তুলে ধরেছিলাম। বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে চারপাশে যা দেখেছি এবং দেশের সংস্কৃতি আমাকে যে সনাতন ভারতের স্বপ্ন দেখায়, সেটাই আমি লেখায় তুলে ধরেছি। বিচারকদের আমার গল্প পছন্দ হয়েছে বলে ভাল লাগছে। বন্ধুরা ও শিক্ষিকারা আমার পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছেন।’’

স্কুলের অধ্যক্ষা রুমা গুহনিয়োগী বলেন, ‘‘আনুষী আমাদের স্কুলকে ও জেলাকে গর্বিত করেছে। ওর শৈশব কেটেছে পাড়ার মতো পিছিয়ে পড়া একটি এলাকায়। তার পরেও আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতা থেকে সে সম্মান ছিনিয়ে এনেছে। ওকে ধন্যবাদ। সে অন্যদেরও অনুপ্রেরণা জোগাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন