ISRO

ইসরোর শিবিরে ডাক পেল সৃঞ্জা

কীর্ণাহার স্টেশনপাড়ার বাসিন্দা সৃঞ্জা নানুরের নূতনগ্রাম হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা সৌম্যজিৎ এবং মা অদিতি মল্লিক ওই স্কুলেই শিক্ষকতা করেন। সৃঞ্জার প্রিয় বিষয় অঙ্ক ও পদার্থবিদ্যা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কীর্ণাহার শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৩ ০৯:০৫
Share:

নিজের পাওয়া অজস্র পুরস্কারের সঙ্গে সৃঞ্জা। নিজস্ব চিত্র।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) আয়োজিত প্রশিক্ষণ শিবিরে ডাক পেয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে কীর্ণাহারের স্কুলছাত্রী সৃঞ্জা মল্লিক। আগামী ১৪ মে থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টারে মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কিত ‘অন্তরীক্ষ জিজ্ঞাসা’ শীর্ষক যুববিজ্ঞানী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ১৪ দিন ব্যাপী ওই শিবিরে দেশের ৩৫০ জন পড়ুয়া যোগদানের ডাক পেয়েছে। বীরভূম থেকে একমাত্র সৃঞ্জাই প্রতিনিধিত্ব করতে চলছে।

Advertisement

কীর্ণাহার স্টেশনপাড়ার বাসিন্দা সৃঞ্জা নানুরের নূতনগ্রাম হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা সৌম্যজিৎ এবং মা অদিতি মল্লিক ওই স্কুলেই শিক্ষকতা করেন। সৃঞ্জার প্রিয় বিষয় অঙ্ক ও পদার্থবিদ্যা। ভবিষ্যতে মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার লক্ষ্যে নিজেকে সে প্রস্তুত করছে।

ইতিমধ্যেই সায়েন্স অলিম্পিয়াড ফাউন্ডেশনের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাথ অলিম্পিয়াডে পরপর দু’বার প্রথম র‌্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করেছে। সেই সব সাফল্যের শংসাপত্র সহ অনলাইনে পরীক্ষা দিয়ে ওই প্রশিক্ষণে যোগ দেওয়ার সুযোগ অর্জন করেছে সৃঞ্জা।

Advertisement

সৃঞ্জা জানায়, প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের আত্মজীবনী ‘উইংস অব ফায়ার’ পড়ে সে মহাকাশ গবেষণা বিষয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছে। বিতর্ক প্রতিয়োগিতায় যোগ দেওয়া এবং মিমিক্রিতেও সে বিশেষ দক্ষ। তবে কোনও ব্যক্তিবিশেষের মিমিক্রি সে করে না। মূলত কার্টুনের বিভিন্ন চরিত্র তার মিমিক্রির বিষয়বস্তু। সৃঞ্জার কথায়, ‘‘মহাকাশ গবেষণা আমার স্বপ্ন। কাছ থেকে রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে পাব ভাবতেই রোমাঞ্চ অনুভব করছি।’’

তার বাবা মা বলেন, ‘‘মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে সৃঞ্জার বরাবরই ঝোঁক। মহাকাশ নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন রয়েছে। প্রশিক্ষণে ডাক পাওয়ায় বাবা মা হিসাবে আমরা খুব খুশি।’’ খবরটি শোনার পরে শুভেচ্ছা জানাতে সৃঞ্জার বাড়িতে যান এলাকার বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি এবং দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। দু’জনেই বলছেন, ‘‘আমাদের খুবই গর্বের বিষয়। মেয়েটির স্বপ্নপূরণের ব্যাপারে সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন