Encroachment

হাটতলায় দখল সরানোর সিদ্ধান্ত

এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, রাস্তা দোকানিদের দখলে থাকার জন্য সরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ০০:২৭
Share:

এমনই অবস্থা বাজােরর। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম

সরু রাস্তায় ঢুকতে পারেনি দমকল। পথে দেরির জন্য পুড়ে গিয়েছিল মণ্ডপ। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার রামপুরহাট হাটতলায় হাটের ভিতরে দখলদারদের সরানোর সিদ্ধান্ত হল। এলাকার বাসিন্দা, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ, প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে হাটের ভিতরে দখলদারদের সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। লক্ষ্মীপুজোর পরেই তা কার্যকর করা হবে।’’

Advertisement

এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, রাস্তা দোকানিদের দখলে থাকার জন্য সরু হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই দমকলের গাড়ি ঢুকতে দেরি হয়েছে। হাটতলায় কাপড়, সোনা, স্টেশনারি, প্লাস্টিকের দ্রব্য থেকে সব ধরণের জিনিসপত্র বিক্রির দোকান আছে। একবার আগুন লাগলে দমকলের গাড়ি প্রবেশ করা মুশকিল। এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন এই আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় পুরনো পুকুর বুজিয়ে বাড়ি হচ্ছে। বড় অগ্নিকাণ্ড হলে জলের অভাবে আগুন নেভানো মুশকিল। তাঁদের দাবি, মঙ্গলবার আগুন আশপাশের বাড়ি এবং দোকানে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল।

শহরের প্রাণকেন্দ্রেই হাটতলা অবস্থিত। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা গেল, ১২ ফুট চওড়া রাস্তা কোথাও ৮ ফুট কোথাও আবার ৫ ফুটের হয়েছে। হাটের ভিতরে লোকজনের চলাচল করতেও অসুবিধা হয়। রামপুরহাট হাটতলা এলাকাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শুভাশিস চৌধুরীর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন হল ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিজেপির দখলে। তাই পুরসভার উন্নয়ন মূলক কাজ থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। রাস্তার দখলদারদের সরানোর জন্যও এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে একাধিকবার পুরসভায় আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু, কাজ হয়নি।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দা, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপির প্রাক্তন কাউন্সিলর ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। পুরসভা থেকে প্রতিদিন রাস্তায় জঞ্জাল সাফাই করার জন্য ট্রাক্টর ঢোকানোর কথা। কাউন্সিলরের সদিচ্ছার অভাবে তা হয় না। তবে হাটতলার হাটের ভিতরে দখলদারদের সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন