কম বয়স, বিয়ে বন্ধ ২ ছাত্রীর

দু’টি পৃথক জায়গায় দুই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল প্রশাসন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কাশীপুর ব্লকের কাঁটাগোড়া গ্রামে এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করেছে প্রশাসন ও চাইল্ডলাইন। আর শনিবার দুপরে সাঁতুড়ি থানার তালবেড়িয়া গ্রামে গিয়ে আরও এক নাবালিক স্কুল ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করেছে পুলিশ ও প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আদ্রা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৭ ০২:২৯
Share:

দু’টি পৃথক জায়গায় দুই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল প্রশাসন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কাশীপুর ব্লকের কাঁটাগোড়া গ্রামে এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করেছে প্রশাসন ও চাইল্ডলাইন। আর শনিবার দুপরে সাঁতুড়ি থানার তালবেড়িয়া গ্রামে গিয়ে আরও এক নাবালিক স্কুল ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করেছে পুলিশ ও প্রশাসন।

Advertisement

চাইল্ডলাইনের আদ্রা সাবসেন্টারের কর্মকর্তা মন্টু মাহাতো জানান, কাঁটাগোড়া গ্রামের ওই ছাত্রীর সঙ্গে হু়ড়া থানা এলাকার এক যুবকের বিয়ে শনিবার হওয়ার কথা ছিল। সেই খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাটি কাশীপুর ব্লক প্রশাসন ও পুলিশকে জানান। তারপরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাশীপুরের জয়েন্ট বিডিও অনিরুদ্ধ দাস চাইল্ডলাইনের কর্মী ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই গ্রামে যান। একদিন পরেই বিয়ের দিন থাকায় স্বাভাবিক ভাবে সমস্ত আয়োজন প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছিলেন মেয়েটির পরিবারের লোকের। এই অবস্থায় বিয়ে বন্ধ করতে রাজি ছিলেন না তাঁরা। মন্টুবাবু জানান, ওই মেয়েটির বয়স বছর মোটে ষোলো বছর। সে স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বয়সের প্রমাণপত্র দেখেই তাঁরা মেয়েটি যেহেতু নাবালিকা, তাই তার এখন বিয়ে দেওয়া বেআইনি বলে পরিবারের লোকেদের জানান। সে ক্ষেত্রে নাবালিকার পরিবার আইনগত কী সমস্যায় পড়বেন, তা সবাইকে বোঝানো হয়। তারপরেই বিয়ে বন্ধ রাখতে রাজি হন তাঁরা। মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া অবধি বিয়ে দেবেন না বলে মেয়েটির বাবা প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দেন।

অন্যদিকে সম্প্রতি গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সাঁতুড়ির তালবেড়িয়া গ্রামের বছর পনেরোর স্থানীয় স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর। বিয়ের খবর পৌঁছেছিল সাঁতুড়ির বিডিও অরিন্দম বিশ্বাসের কাছে। এ দিন দুপুরে সাঁতুড়ি থানার ওসি রানা ভকত ও আদ্রার চাইল্ডলাইনের কর্মীদের নিয়ে তালবেড়িয়া গ্রামে যান বিডিও অরিন্দমবাবু। তিনি বলেন, ‘‘তালবেড়িয়া গ্রামে ওই নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কম বয়েসে মেয়ের বিয়ে দিলে কী কী সমস্যা হবে, আইনগত দিক দিয়ে কী সমস্যায় পড়বেন, সব বোঝানো হয়। শেষে তাঁরা বিয়ে স্থগিত করেন।” কাশীপুরের মতোই সাঁতুড়ির ক্ষেত্রেও প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়েছেন ওই নাবালিকা স্কুলছাত্রীর পরিবার।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন