Birbhum

দুয়ারে বর্ষা, তৎপরতা শুরু ডেঙ্গি নিয়েও

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা মোকাবিলার জন্য ডেঙ্গি প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ আপাতত বন্ধ আছে।

Advertisement

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২০ ০২:২৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত

বর্ষা দোরগোড়ায়। এই পরিস্থিতিতে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গি প্রতিরোধেও তৎপর হল জেলা প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

করোনা মোকাবিলার মাঝে সপ্তাহ তিনেক আগে জেলা প্রশাসন সিউড়িতে ডেঙ্গি প্রতিরোধে জেলার বীরভূম এবং রামপুরহাট দুই জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে জেলার ছটি পুরসভার পুরপ্রধানেরাও উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ শুরু করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা মোকাবিলার জন্য ডেঙ্গি প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ আপাতত বন্ধ আছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানান, ডেঙ্গি প্রতিরোধে এপ্রিল মাসে বাড়ি বাড়ি সার্ভের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতিতে তা এখনও পর্যন্ত শুরু হয় নি। সেই কাজ কবে নাগাদ শুরু হবে সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ আসে নি। তবে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সেই কাজ শুরু হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন। জেলা স্থাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর এখনও পর্যন্ত বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় তিন জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় এবছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায় নি। গত বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ২৯ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।

Advertisement

রামপুরহাট ও বীরভূম, দুই জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানান, পুরসভা এলাকায় কর্মীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জমা জলে জমে থাকা মশার লার্ভা ধ্বংস করতে স্প্রে করার কাজ করছেন। গ্রামাঞ্চলে ভিলেজ রিসোর্স পার্সনরা ওই কাজ করছেন। সেই কাজে জোর দেওয়া এবং বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা শুরু কথাই বলা হয়েছে। কারণ বর্ষা আসতে আর বেশি দেরি নেই। আর বৃষ্টির জমা জলেই ডেঙ্গির মশা জন্ম নেয়। জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানান, ডেঙ্গি প্রতিরোধে এখন থেকেই তৎপর না হলে ডেঙ্গি রোগের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানান, করোনা মোকাবিলায় পুর এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বর্তমানে বাড়ি বাড়ি জ্বরের সমীক্ষা করছেন। গ্রামাঞ্চলে আশা কর্মীরা সেই কাজ করছেন। সেই কাজের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি ডেঙ্গির সমীক্ষা করা যাবে কি না তা নিয়েও স্বাস্থ্য দফতর চিন্তা ভাবনা করছে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন