বিষ্ণুপুরে এ বার অ্যাডভেঞ্চার বাইক

জল-কাদা, কাঁকর, পাথর— সব কিছুর উপর দিয়েই হেলায় চালানো সম্ভব এই বাইক। এমনটাই জানাচ্ছে বিষ্ণুপুরের মহকুমা প্রশাসন। 

Advertisement

অভিজিৎ অধিকারী

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯ ০১:০৫
Share:

আকর্ষণ: এই বাইকে চেপেই ঘোরা যাবে মন্দির থেকে জঙ্গলে। মঙ্গলবার মহকুমাশাসকের অফিসে। —নিজস্ব চিত্র।

মল্লভূমের পথে এ বার ছুটবে অ্যাডভেঞ্চার বাইক। তরুণ পর্যটকদের কথা ভেবেই বিষ্ণুপুরের পর্যটনের বিনোদনে এই নতুন মাত্রা যোগ করছে মহকুমা প্রশাসন। চার চাকার এই বাইকে চালক ছাড়াও আরও দুওজন বসতে পারবেন অনায়াসেই। এই বাইকে আছে অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থা। টায়ার হল টিউবলেস। সঙ্কীর্ণ পথে যাতায়াতে দর এই বাইক। জল-কাদা, কাঁকর, পাথর— সব কিছুর উপর দিয়েই হেলায় চালানো সম্ভব এই বাইক। এমনটাই জানাচ্ছে বিষ্ণুপুরের মহকুমা প্রশাসন।

Advertisement

বিষ্ণুপুরের মন্দিরের গায়ের টেরাকোটার সৌন্দর্য পর্যটকদের বরাবরই আকৃষ্ট করে, তা বলাই বাহুল্য। লালমাটির জঙ্গল ঘেরা এই এলাকার সৌন্দর্যও কম আকর্ষণীয় নয়। তাই আরও বেশি সংখ্যাক পর্যটকদের এখানে আনার জন্য ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। সপ্তাহান্তে ফি শনিবার বসছে পোড়ামাটির হাট। সেখানে জেলার হস্তশিল্পের সম্ভার থেকে লোকশিল্পকে তুলে আনা হচ্ছে। জঙ্গলের মধ্যে বিনোদনের জন্য টাঙানো হয়েছে গাছে বাঁধা দোলনা (হ্যামক)। ডুয়েট সাইকেলও আনা হয়েছে ক্ষণিকের ভ্রমণের স্বাদ গিতে। এ বার লালমাটির চড়াই উতরাই, জঙ্গল পথে পর্যটকদের জন্য আনা হল অ্যাডভেঞ্চার বাইক।

মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) মানস মণ্ডল বলেন, “অ্যাডভেঞ্চার বাইক জেলায় এই প্রথম এল। সাধারণত এই সব বাইক ব্যবহার করা হয় পাহাড়ি এলাকায়, উঁচু-নিচু পথে যাতায়াতের জন্য। তবে এখানে নিয়ে আসার কারণটা ভিন্ন। তরুণ প্রজন্মের দেশি-বিদেশি বহু পর্যটক বিষ্ণুপুরে এসে সব কিছু ঘুরে দেখতে পান না। এই বাইকের সাহায্যে তাঁরা অনায়াসেই বাসুদেবপুরের পরিত্যক্ত এয়ারস্ট্রিপ বা উঁচু-নিচু জঙ্গল পথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পারবেন।”

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, আপাতত দু’টি অ্যাডভেঞ্চার বাইক আনা হয়েছে। আপাতত পোড়ামাটির হাটেই রাখা হবে নতুন অ্যাডভেঞ্চার বাইক। এক সপ্তাহের মধ্যেই বাইক দু’টি পর্যটকদের ব্যবহারের জন্য চালু করে দেওয়া হবে। আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, পেট্রল-চালিত এই বাইকে চড়তে পকেটের কড়ি বেশি খসবে না। সাধ্যের মধ্যেই বাইকের ভাড়া রাখা হচ্ছে। বিষ্ণুপুর ট্যুরিজিমের ওয়েবসাইটে জানানো হবে, কোথায়, কী ভাবে বাইক পাওয়া যাবে। তবে চালককে অবশ্যই বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা হিসাবে তাঁরা ড্রাইভিং লাইসেন্স রাখতে হবে।

ইতিমধ্যেই মহকুমা অফিসে অ্যাডভেঞ্চার বাইক দেখতে মানুষজন ভিড় জমাচ্ছেন। সকলেই একবার নতুন বাইক চালাতে চাইছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন