ফের কুইলাপাল পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে চিঠি জমা পড়ল প্রশাসনের কাছে। বিডিও (বান্দোয়ান) অমলেন্দু সমাদ্দার জানান, চলতি মাসের ১৩ তারিখ পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ অনাস্থা প্রস্তাব জমা করেছেন। ৮ অগস্ট অনাস্থার তলবি সভা হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও।
২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুইলাপালের ৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৩টি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ২টি এবং সিপিএম ১টি আসন পেয়েছিল। বোর্ড গঠনের এক বছরের মধ্যেই তৃণমূলের প্রধান সনকা সোরেনের বিরুদ্ধে উপপ্রধান নির্মল সোরেন মোর্চার ২ সদস্য এবং সিপিএমের ১ সদস্যকে নিয়ে অনাস্থা আনেন। সে যাত্রা দলের অন্দরেই বিষয়টি মিটেয়ে ফেলেন দলের জেলা নেতৃত্ব। তার পরেই নির্দেশিকা জারি হয়, পঞ্চায়েত গঠনের আড়াই বছরের মধ্যে অনাস্থা আনা যাবে না।
সম্প্রতি সেই আড়াই বছরের মেয়াদ পার হয়েছে। তার পরেই, ১৪ জুন সনকাদেবীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে অনাস্থা চেয়ে ফের ওই চার জন আবেদন করেন। কিন্তু প্রধানকে অনাস্থার চিঠি না দেওয়ায় আবেদন বাতিল হয়ে যায়। সেই সময় বিডিও জানিয়েছিলেন, হাইকোর্ট থেকে অনাস্থা সংক্রান্ত একটি রিট পিটিশনের কপি জমা পড়ায় আপাতত সনকাদেবীই প্রধান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবেন।
বিডিও অমলেন্দু সমাদ্দার বলেন, ‘‘আগের পাওয়া রিট পিটিশনের কপি নিয়ে জেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। স্থগিতের নির্দেশ না থাকায় কুইলাপাল পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার আবেদন পত্র আমরা জমা নিয়েছি। ৮ অগস্ট তলবি সভা ডাকা হয়েছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য তথা স্থানীয় বাসিন্দা মণীন্দ্রনাথ সোরেন বলেন, ‘‘শাসক দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে প্রশাসনের একাংশ নিয়মের ফাঁক খুজে বেড়াচ্ছেন। সুবিচার না পেলে প্রয়োজনে আমরাও আদালতের দ্বারস্থ হব।’’