খাদান চালুর জন্য অবস্থান

প্রশাসনিক নির্দেশে পাথর খাদান বন্ধ হয়ে পড়ায় রুজি হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সোমবার শালতোড়া ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ বাঁকুড়া শহরে মিছিল করে জেলা শাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দিলেন। দাবি, দ্রুত খাদানগুলি চালু করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৬
Share:

বিক্ষোভ: বাঁকুড়া জেলাশাসকের অফিসের সামনে। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

প্রশাসনিক নির্দেশে পাথর খাদান বন্ধ হয়ে পড়ায় রুজি হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সোমবার শালতোড়া ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ বাঁকুড়া শহরে মিছিল করে জেলা শাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দিলেন। দাবি, দ্রুত খাদানগুলি চালু করতে হবে।

Advertisement

জেলার শালতোড়া ব্লকেই প্রায় তিনশো পাথর খাদান ও ক্রাশার রয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ খাদানই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে গড়ে তোলা। গত জানুয়ারিতে রাজ্যের লার্জ ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজেস দফতর খাদানগুলি ই-টেন্ডার করার নির্দেশ দেয়। সরকারি খাস জমির উপর চলতে থাকা পাথর খাদানগুলির ই-টেন্ডার করার প্রক্রিয়া শুরু ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত জমিতে গড়ে ওঠা খাদানগুলি কোন পদ্ধতিতে চালু হবে তা নিয়ে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি। ফলে বিপাকে পড়েছেন ওই খাদানের মালিকেরা।

এই পরিস্থিতিতে খাদান চালু করার প্রশাসনিক অনুমতিও পাচ্ছেন না তাঁরা। খাদান বন্ধ হয়ে ঝাঁপ পড়েছে ক্রাশারেও। মালিকদের লোকসানের পাশাপাশি খাদান ও ক্রাশারের সঙ্গে যুক্ত শালতোড়ার অনেক শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। এ দিন বিক্ষোভে সামিল ছিলেন ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তের শ্রমিকেরা। পাথর খাদান মালিক সংগঠনের সম্পাদক সদানন্দ মণ্ডল ও ক্রাশার মালিক সংগঠনের সম্পাদক দীনেশকুমার ডালমিয়া বলেন, “তিন মাস ধরে পাথর খাদান ও ক্রাসার মেশিন বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। আমরা চাই দ্রুত জট কাটাক প্রশাসন।”

Advertisement

জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, “ব্যক্তিগত জমিতে গড়ে ওঠা পাথর খাদানগুলি কী ভাবে চালু করা যাবে তা নিয়ে লার্জ ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজেস দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। দফতর বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে। স্থানীয় মানুষের সমস্যাও ওঁদের জানিয়েছি। নির্দেশিকা এলেই আমরা খাদান চালু করার ব্যবস্থা করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন