কারখানার দূষণে ক্ষোভ কাবিলপুরে

একটি চামড়া প্রক্রিয়াকরণ কারখানা থেকে নির্গত গন্ধে জেরবার হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন বাসিন্দাদের একাংশ। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ওই কারখানা আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:১১
Share:

একটি চামড়া প্রক্রিয়াকরণ কারখানা থেকে নির্গত গন্ধে জেরবার হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন বাসিন্দাদের একাংশ। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ওই কারখানা আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তার পরে পাল্টা কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাওয়ার যুক্তিতে ওই কারখানা পুনরায় চালু করার দাবিতে প্রশাসনের কাছে পাল্টা লিখিত আবেদন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অপর এক অংশ।

Advertisement

৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে কাবিলপুর মৌজার ওই ঘটনায় এসডিও (রামপুরহাট) সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘কারখানাটি পরিবেশ দূষিত করছে কিনা, এলাকাবাসীর সেই অভিযোগ যাচাই করা হচ্ছে। বিডিও- কে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।’’ পাশাপাশি পুলিশও ঘটনার তদন্ত করছে বলে এসডিও জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১ কাঠা জমির উপরে ওই কারখানাটি অবস্থিত। শুক্রবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে জানা গেল, সকাল থেকে কারখানায় তালা ঝুলিয়ে মালিক এবং শ্রমিকেরা চলে গিয়েছেন। কারখানার ভিতরে কারও দেখা মিলল না। এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, জাকাত আলি, সন্তোষ দাসরা বলেন, ‘‘এক বছর আগে কারখানাটিতে প্লাস্টিক মজুত করা হতো। তখন কারও কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু মাস তিনেক থেকে কারখানায় চামড়া প্রক্রিয়াকরণের কাজ হচ্ছে। তার ফলে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সেই দুর্গন্ধে রান্না করা খাবার মুখে তোলা যায় না।’’ এলাকাবাসীর আরও দাবি, কারখানায় বাইরের লোকেদের আনাগোনা লেগেই থাকে। কারখানার মালিক কানপুরের বাসিন্দা বলে তাঁরা শুনেছেন। দিনভর গেট বন্ধ রেখে কাজ চলে। রাতে বাইরে থেকে আসা গাড়িতে মালপত্র চাপিয়ে দেওয়া হয়। ওই বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে দূষণ নিয়ন্ত্রণ দফতরের কলকাতা ও দুর্গাপুর অফিসে জানানো সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

Advertisement

এ দিকে, প্রাথমিক তদন্তে পরে রামপুরহাট ১ বিডিও নিতীশ বালা জানান, কারখানাটির কোনও বৈধ লাইসেন্স নেই। পাশাপাশি পরিবেশ দফতরের কোনও অনুমোদন তারা নেয়নি। অন্য দিকে, কারখানা বন্ধ থাকলে এলাকার বেকার যুবকদের কাজ হারাবেন বলে দাবি করে এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা বিডিও অফিসে গণস্বাক্ষরিত আবেদনও জমা দিয়েছেন। বিডিও বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে সমস্ত কিছুই এখন খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপাতত কারখানা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ দিন কারখানার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগা করা যায়নি। কারখানাটি যে জমির উপরে গড়ে উঠেছে, তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন