বোনাসের দাবিতে অবস্থান রামপুরহাটে

স্বাস্থ্য কর্মীদের অভিযোগ, সরকারি নির্দেশাবলীতে বোনাস দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁদেরকে জানিয়ে দেন, বোনাস দেওয়ার ব্যাপারে কোনও রকম নির্দেশ তাঁদের কাছে নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:২১
Share:

বিক্ষোভ: স্বাস্থ্য দফতরের অস্থায়ী কর্মীদের ধর্না। রামপুরহাট মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

পুজোর মুখে বোনাস না পেয়ে আন্দোলনে নামল পতঙ্গবাহিত রোগের কাজে গ্রামাঞ্চলে চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীরা। বোনাসের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ওই সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা। বৃহস্পতিবার রামপুরহাট ১ এবং রামপুরহাট ২ ব্লকে কর্মরত ওই সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা রামপুরহাট জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে তাঁদের দাবির ব্যাপারে কথা বলেন।

Advertisement

স্বাস্থ্য কর্মীদের অভিযোগ, সরকারি নির্দেশাবলীতে বোনাস দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁদেরকে জানিয়ে দেন, বোনাস দেওয়ার ব্যাপারে কোনও রকম নির্দেশ তাঁদের কাছে নেই। সেই কারণে, স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য
কর্মীদের দাবি, সাত বছর ধরে তারা চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করছেন। ছ’ বছর ধরে তারা বোনাস পেয়ে আসছেন। অথচ এখনও পর্যন্ত তারা এ বছর বোনাস পায়নি।

স্বাস্থ্য কর্মীদের ক্ষোভ, অন্য বার পুজোর আগে বোনাস পেয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছিলাম কিন্তু এ বছর এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করার পরে বোনাস না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বেকায়দায় পড়েছেন। স্বাস্থ্য কর্মীদের অভিযোগ সরকারের একই নির্দেশে অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা এ বছর বোনাস পেয়েছেন অথচ এখনও পর্যন্ত জেলাতে তাঁদের মতো কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মীরা এখনও কেউ বোনাস পায়নি।

Advertisement

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ব্রজেশ্বর মজুমদার বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য কর্মীদের দাবি সঙ্গত। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলার পরেও এই সমস্ত কর্মীদের বোনাস দেওয়ার ব্যাপারে কোনও লিখিত নির্দেশ পায়নি। আন্দোলনরত স্বাস্থ্য কর্মীদের ব্যাপারে উর্দ্ধতম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আমি কি করতে পারি!’’ সে কথা শুনে আশাহত আন্দোলনকারীরা। তাঁদের এক জন বলেন, ‘‘বছরভর পরিবার-পরিজন ভুলে নির্দেশ মতো মুখ বুজে কাজ করে যাই। পুজোর মুখে এটুকু কি আমরা প্রত্যাশা করতে পারি না?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন