সামসুল আলম মল্লিক। —নিজস্ব চিত্র।
রেকর্ড ভেঙে ‘হ্যাটট্রিক’ করতে চলেছেন আলম। এই নিয়ে তিন বার প্রধানের চেয়ারে বসতে চলেছেন তিনি। দলের অন্দরমহলের খবর, তাঁর নাম ঘোষণা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। বছর পঞ্চাশের আলমের পোশাকি নাম সামসুল আলম মল্লিক। কিন্তু এলাকার বাসিন্দা থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে তিনি আলম নামেই বেশি পরিচিত। ময়ূরেশ্বরের দুনা গ্রামে বাড়ি। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলে রয়েছেন। বর্তমানে দলের উলকুণ্ডা অঞ্চল কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
দলীয় সূত্রে খবর, ১৯৯৩ সাল থেকে ওই পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য তিনি। ২০০৮ এবং ২০১১ সালে প্রধান নির্বাচিত হন। এ বারও প্রধান পদে তাঁর নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের ৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে এর আগে কোনও কোনও পঞ্চায়েতে একই প্রার্থী পর পর ২ বার প্রধান হলেও তিন বার কেউ ওই পদে বসতে পারেননি। সজল বন্দ্যোপাধ্যায়, আশিস দত্তের মতো এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‘‘আলমদা ফের প্রধান হচ্ছেন বলে আমরা গর্বিত। এলাকার প্রতিটি কাজে উনি সাধ্যমতো পাশে থাকার চেষ্টা করছেন।’’
ওই ব্লকের ৪টি পঞ্চায়েতে এ বার ভোট হয়নি। যে তিনটি পঞ্চায়েতে ভোট হয়, তার মধ্যে উলকুণ্ডা অন্যতম। ওই পঞ্চায়েতের ১১টি আসনের মধ্যে ৬টি এবং পঞ্চায়েত সমিতির ৩টি আসনের মধ্যে ২টিতে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। পরে অবশ্য ওই প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ান। তৃণমূল প্রার্থীদেরই ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তাঁরা। তার ফলে ওই আসনগুলিতে ভোট হলেও তৃণমূল প্রার্থীরা কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জিতে যান। আলমের বক্তব্য, ‘‘রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করেছি। সেই ভাবেই কাজ করতে চাই।’’ তৃণমূলের ময়ূরেশ্বর ২ ব্লক সভাপতি নারায়ণপ্রসাদ চন্দ্র জানান, অঞ্চল কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রধান পদের জন্য সামসুল আলম মল্লিকের নাম জেলা কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। জেলা নেতৃত্বই অনুমোদন দেবেন।