কুইলাপাল বিট অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আহত হরিণকে। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো
ফের রক্তাক্ত অবস্থায় আরও একটি হরিণকে পাওয়া গেল বান্দোয়ানের নতুনডির জঙ্গলে। বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে সেই হরিণকে উদ্ধার করল বন দফতর। বাসিন্দাদের দাবি, হরিণটি একটি পুকুরের কাছে ছিল। তাকে ঘিরে রেখেছিল সাত-আটটি কুকুর। বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে কুকুরের দল পালায়। কিন্তু, তার আগেই কুকুরের হামলা চালিয়েছিল ওই হরিণটির উপরে।
রবিবার সেন্ট্রাল জ়ু অথরিটির নিয়ম মেনে বান্দোয়ানের যমুনা বনাঞ্চলের নতুনডির জঙ্গলে পুরুলিয়ার সুরুলিয়া মিনি জ়ু থেকে ৩০টি চিতল প্রজাতির হরিণকে ছাড়া হয়েছিল। পরের দিন থেকে কুকুরের তাণ্ডব শুরু হয় বলে বাসিন্দাদের দাবি। গত তিন দিনে পর পর ছ’টি হরিণকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বন দফতর। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনটি হরিণের। গুরুতর জখম হয়েছে তিনটি হরিণ।
এ দিন সকালে নতুনডি গ্রামের অদূরের একটি পুকুরে পূর্ণবয়স্ক পুরুষ হরিণটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান গ্রামবাসী। খবর পেয়ে বনকর্মীরা হরিণটিকে কুইলাপাল বিট অফিসে নিয়ে যান। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
নতুনডির গ্রামবাসীদের দাবি, এ দিন সকালে জঙ্গলের দিকে যাচ্ছিলেন গ্রামের কয়েকজন যুবক। সেই সময় তাঁরা দেখতে পান, নতুনডি থেকে কুকড়ুডাবর গ্রামের দিকে যাওয়ার রাস্তার পাশে একটি পুকুরের পড়ে রয়েছে একটি হরিন। পুকুরের চারপাশে ঘিরে রয়েছে সাত-আটটি কুকুর। কুকুরগুলিকে দেখেই গ্রামের লোকজন তাড়া করেন। সেখান থেকে পালিয়ে যায় কুকুর গুলি। এরপরেই হরিণটি জঙ্গলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে ঘিরে রাখেন গ্রামবাসী। খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে।
ইতিমধ্যে জখম হওয়া হরিণদের মধ্যে একটিকে জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে। একটিকে চিকিৎসার জন্য পুরুলিয়ার সুরুলিয়া মিনি জ়ুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। তবে এ দিন সকালে উদ্ধার হওয়া হরিণটিকে রাখা হয়েছে কুইলাপাল বিট কার্যালয়ে।
বন দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিণটি সকালের দিকে জল খেতে নেমেছিল পুকুরে। সেই সময় কুকুরগুলি তাকে জখম করে। ডিএফও (পুরুলিয়া দক্ষিণ) অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কুকুরের দল আবার যাতে হরিণের উপর হামলা চালাতে না পারে, সে জন্য সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছি।’’